অবাক কান্ড! বাংলার এই কেন্দ্রে একজন নন, বিজেপির প্রার্থী চার-চারজন! জানুন বিস্তারিত উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য March 27, 2019 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের অন্তত ১২ দিন পরে বিজেপি তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। আর সেই প্রার্থী তালিকায় বাংলা থেকে ২৮ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। ২৮ টি কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একটি করে নাম সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই তালিকা সামনে আসার পর বিভিন্ন কেন্দ্রেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা সামনে আসছিল। বিশেষ করে অভিযোগ উঠছিল এবারের তালিকায় অনেক অরাজনৈতিক মুখ বা অন্যদল থেকে আসা নেতারা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলার তুলনামূলক কঠিন মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন গেরুয়া পতাকা নিয়ে তাঁরা নাকি ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন। কিন্তু, এসব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য – বাংলারই একটি কেন্দ্র থেকে চার-চারজন বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন! জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বিজেপির তরফে ডাঃ জয়ন্ত রায়ের নাম সরকারিভাবে ঘোষিত হওয়ায় – তিনি তো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেনই। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন আরও তিন জন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জয়ন্তবাবুর পাশাপাশি দ্বীপেন্দ্রনাথ প্রামানিক, প্রকাশচন্দ্র রায় ও রবীন্দ্রনাথ রায় নামে আরও তিন-তিনজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নিজেদের ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দাবি করে। এর মধ্যে জয়ন্ত রায়ের আবেদন পত্রে দলের নাম হিসাবে ইংরেজি হরফে লেখা আছে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’, পেন্দ্রনাথ প্রামানিকের আবেদন পত্রে দলের নাম হিসাবে ইংরেজি হরফে লেখা আছে ‘ভারতীয় জনতা’, ‘পার্টি’ কথাটি ইলেকশন কমিশনের ফর্মে ছাপা আছে, প্রকাশচন্দ্র রায়ের আবেদন পত্রে দলের নাম হিসাবে ইংরেজি হরফে লেখা আছে ‘বিজেপি’ এবং রবীন্দ্রনাথ রায়ের আবেদন পত্রে দলের নাম হিসাবে বাংলা হরফে লেখা আছে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, আগে নিয়ম ছিল কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতলে তাঁকে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হত। কিন্তু, বর্তমানে নিয়ম হচ্ছে, আগে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তারপর নির্বাচনে কেউ লড়তে পারবেন। জয়ন্তবাবু যেহেতু পেশায় সরকারি চিকিৎসক এবং এই নিয়মটি সঠিকভাবে তাঁর জানা না থাকায়, সরকারি চাকরিতে তাঁর ইস্তফা দিতে দেরি হয়। কিন্তু, এখনও সেই ইস্তফা গ্রহণের কথা নবান্নের তরফে সরকারিভাবে তাঁকে জানানো হয় নি ও তার প্রমাণপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় নি। এই অবস্থায় মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির দিন পর্যন্ত তিনি যদি সেই প্রমাণপত্র জমা দিতে না পারেন তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। আর তাই সেক্ষত্রে, কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিজেপির তরফে ঠিক হয় অন্য প্রার্থীরও মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে হওয়ায় সেই মনোনয়নেও কিছু ভুল থাকতে পারে – তাই সেই প্রার্থীপদ খারিজ হয়ে যাওয়ারও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে জয়ন্তবাবু ছাড়াও আরও মোট তিনজনকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্ক্রুটিনির দিনের মধ্যে জয়ন্তবাবুর দরকারি ইস্তফাপত্র এসে গেলে তিনিই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হবেন, সেক্ষেত্রে বাকিরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু, তা যদি না হয় তাহলেও যেন এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিজেপির কোনো অসুবিধা না হয় – তাই এই অতিরিক্ত তিন-তিনজনের মনোনয়ন জমা করানো হয়েছে। আপনার মতামত জানান -