বিধানসভার লক্ষ্যে ৭ প্রার্থীর নাম ও কেন্দ্র ঠিক করে ফেলল বিজেপি? ৫ জনই অন্য দল থেকে আগত? জাতীয় বিজেপি বিশেষ খবর রাজনীতি October 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রবিবার গুজরাট বিজেপি আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তার সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, এর মধ্যে পাঁচজন কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন যারা এই বছরের গোড়ার দিকে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করেছিলেন। বিজেপি এখনও তার অষ্টম প্রার্থীর নাম ঠিক করতে পারেনি। অন্যদিকে, কংগ্রেস এখনও একটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে নি। প্রসঙ্গত, আটটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩ নভেম্বর। বিজেপি ঘোষিত তালিকায় বলা হয়েছে, আবদাসা, ধরী, করজন, কাপাড়া ও মুরবি বিধানসভা আসনের প্রার্থী হিসাবে প্রদ্যুম্ন সিংহ জাদেজা, জে ভি কাকাদিয়া, অক্ষয় প্যাটেল, জিতু চৌধুরী এবং ব্রিজেশ মেরজাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এঁরা সকলেই কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে এই বছরের গোড়ার দিকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে মোট ৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়েন। এর আগে ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ৫ জন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে এই আসনগুলিতে জয়লাভ করেছিলেন। এদিকে, অষ্টম আসন লিম্বডির জন্য এখনও কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষিত হয়নি। অন্যদিকে, রাজ্য কংগ্রেস এখনও তাদের প্রার্থীদের নামই চূড়ান্ত করতে পারেনি বলে খবর। সূত্রের খবর, টিকিট বিতরণকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে কংগ্রেস আপাতত ধীরে চাল নীতি নিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে উপনির্বাচনের টিকিট পেতেই বিজেপির অন্দরেও তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে। কয়েকজন প্রবীণ নেতা তো প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছেন বলে খবর। তাঁদের বক্তব্য, যদিও আমরা জানতাম এমনটিই হতে চলেছে, তবুও আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব সন্তুষ্ট নই। বেশ কয়েকজন কঠোর পরিশ্রমী তৃণমূলস্তরের কর্মী এবং প্রবীণ নেতাদের অবহেলা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এর ফলে বুথ স্তরের কর্মীরা তাদের ১০০% দেবেন। অন্যদিকে নাম ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী টুইটারে প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “সৈনিকের মতো কর্মী ও বিজেপির নেতাদের কঠোর পরিশ্রম এই প্রার্থীদের বিজয়ী করবে।” অন্যদিকে, এই উপনিৰ্বাচনের ফলাফল গুজরাট কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান সি আর পাটেলের পক্ষে কার্যত অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা বিজেপিতে নতুন পদ পাওয়ার পরে এটিই তাদের জন্য প্রথম বড় নির্বাচন হতে চলেছে। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিরোধীদের তোলা “ঘোড়া কেনাবেচার” তত্ত্বের জেরে এই উপনির্বাচনে বিজেপি বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে আগত প্রার্থীদের আদি বিজেপি সমর্থকরা বিজেপির টিকিটে কতটা মেনে নেবেন সেই প্রশ্নও রয়েছে। এদিকে ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনের ফলাফল আসন্ন স্থানীয় পুরভোটে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পুরভোট এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার মতামত জানান -