CAA নিয়ে প্রকাশ্যেই স্পষ্ট বিভাজন NDA শিবিরে? বিধানসভার আবহে তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির জাতীয় বিজেপি রাজনীতি November 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই ক্ষমতায় এসে বিজেপি প্রথমেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে। কিন্তু সেই আইন এখনো পর্যন্ত দেশের কোন রাজ্যে লাগু হয়নি। অন্যদিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই জমজমাট রাজনৈতিক মহল। গেরুয়া শিবির কিন্তু বিহার ভোটে অস্ত্র করতে চাইছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকেই। প্রচারেও সেরম ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই এনডিএ শিবিরে দেখা গিয়েছে বিভাজন। প্রসঙ্গত, বিহার ভোটের তৃতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের চূড়ান্ত প্রশংসা করে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবং সেইসঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বার্তা দিয়ে এসেছিলেন যে এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের হাত ধরে অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের বার্তায় এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এই চিন্তাতেই নীতীশ কুমারের আপত্তি প্রকাশ। বিহার বিধানসভায় দুই দফার নির্বাচন মিটে গেছে। এবার পালা তৃতীয় দফার। আপাতত বিহারে নির্বাচনের তৈয়ারিতে লেগেছে সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি। বৃহস্পতিবার সেরকমই তৃতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে যান বিহারের কাটিহারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবং সেই জনসভায় যোগী জানান, অনুপ্রবেশ রুখতে এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যবহার করা হবে। আর এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে যেকোন অনুপ্রবেশকারী যদি দেশের নিরাপত্তা ভঙ্গ করে, তাহলে তাঁকে যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেন যোগী। যথারীতি যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। বস্তুত, বিহারে বড় অঙ্কের সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। এমনিতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তারপর এনডিএর প্রচারে এসে যোগী আদিত্যনাথ যেভাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বার্তা দিয়ে গেলেন, তা বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পর পাল্টা নীতীশ কুমারকে বার্তা রাখতে হয় এবং সেক্ষেত্রে অন্য একটি জনসভা থেকে নীতীশ কুমার এদিন যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যের নাম না করেই তীব্র বিরোধিতা করেন। এদিন নীতীশ কুমার প্রচারে গিয়ে সম্প্রীতি এবং ভাতৃত্বের প্রচার করেছেন। সেক্ষেত্রে দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বার করে দেওয়াকে তিনি মোটেই সমর্থন করেননি, বরং পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যথারীতি বোঝাই যাচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথ ও নীতীশ কুমারের মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একটি চাপা বিরোধিতা শুরু হয়েছে। যথারীতি বিহারের এনডিএ জোটে এই বিরোধিতা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এনডিএ শিবিরের এই বিভাজন যথারীতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শিবিরকে বিপাকে ফেলতে পারে। সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনের আবহে বিহারের গেরুয়া শিবির এই মুহূর্তে দুই শীর্ষ নেতার বিরোধিতার কারণে চরম অস্বস্তিতে। আপনার মতামত জানান -