দলকে আর বিকল্প ভাবছে না মানুষ, এবার দলের বিরুদ্ধে সরব হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতি November 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদে আবারো শপথ নেওয়ার কথা নীতীশ কুমারের। অন্যদিকে বিহারে নির্বাচনে সবার উপরে স্থান পেয়েছে এনডিএ। সেখানে মহাজোটের স্থান আশাপ্রদ হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তবে এ প্রসঙ্গে এর আগেও দলকে সতর্ক করে চিঠি লিখতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালকে। সেক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বের অসন্তোষের মুখে পড়লেও তাঁর দাবি মতো দলের নেতৃত্বে কোন বদল হয়নি বলেই জানানো হয়েছিল। তবে বিহার ভোটের পর আবার তাঁকে কংগ্রেসকে নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গেল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় রাজনীতিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কপিল সিবাল মানুষ কংগ্রেসকে আর বিকল্প হিসেবেও ভাবছে না বলেই দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেস বিহার নির্বাচনের আগেই দেওয়াল লিখন পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই কারণেই বিহারে কংগ্রেস নয়, নীতীশ সরকারের বিকল্প হিসেবে মানুষ আরজেডি-কেই বেছেছিলেন বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায় মানুষ কংগ্রেসের কথা ভাবেননি। সেই সঙ্গে কংগ্রেস যে গুজরাতেও উপনির্বাচনে কোনও আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে সে কথাও বলেছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি হতাশা প্রকাশ করে জানান, “লোকসভা উপনির্বাচনেও একটি আসন জিততে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। উত্তর প্রদেশে কোনও কোনও আসনে কংগ্রেস ২ শতাংশের কম ভোট পেয়েছে।” অন্যদিকে, গতকাল এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা তারিক আনওয়ার দাবি করেছিলেন যে, বিহার নির্বাচনের আগে আসন রফা চূড়ান্ত করতে দেরি হওয়াতেই মহাজোটকে হারতে হয়েছে। তাই এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে তার জন্য কংগ্রেসকে এখন থেকেই জোট গঠনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও কপিল সিব্বলের মতে, ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ গত ছ’ বছরে যখন কংগ্রেস আত্মসমীক্ষা করেনি তখন আর এখন তা সম্ভব কিনা সেই নিয়ে তাঁর আশঙ্কা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল চেয়ে এবং আরও ২২জন সিনিয়র নেতা দলকে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। সেইসঙ্গে দলেরই একাংশের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কর্মপন্থাতেও বদল আনার আর্জি জানান তিনি। তবে সম্প্রতি তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, তিনি কংগ্রেসে আছেন, আজীবন কংগ্রেসেই থাকবেন। আপনার মতামত জানান -