ভোট বড় বালাই! বিজেপিকে আটকাতে এবার মন্দিরের দরজায় মমতার হেভিওয়েট সংখ্যালঘু মন্ত্রী কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যেখানে বাংলায় শাসনভার কায়েম করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। সেখানে বিজেপিকে বিপর্যের তকমা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছে দিয়েছে তৃণমূল। নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন, এই শ্লোগান দিয়ে তাঁদের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে জানা গেছে এবার বাকি তাদের নতুন স্লোগান হতে চলেছে বাংলাকে বিজেপির থেকে বাঁচান। আর এই স্লোগান দিয়ে নাকি পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় তৃণমূলের সভা শুরু করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে আগামী ২২শে নভেম্বর থেকে রাজ্যে পরপর ৬০০ সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। সেখানে ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই সভা করা হবে বলেও জানা যায়। আর সেই কাজকে অগ্রসর করতে একদিকে যেমন লিফলেট বিতরণ করা হবে, সেইসঙ্গে করা হবে জনসভাও। এছাড়াও কমিউনিটি রেডিও প্রচার চালানো হবে বলেও জানা গেছে। সেখানে তৃণমূলের সাফল্যের কথা বলা হবে বলেও জানান হয়েছে। শুধু বাংলা ভাষাতেই নয়, নেপালি, সাঁওতালি, তেলেগু, ইংরেজি, হিন্দি এবং রাজবংশীতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, রাজ্যের সব মানুষের কাছে পৌঁছনোই যে এদের লক্ষ্য, সেটাই মনে করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে নিজের তৈরি মন্দিরে দোয়া করতে দেখা গেছে মমতার হেভিওয়েট সংখ্যালঘু মন্ত্রী জাভেদ খানকে। বিজেপি বিনাশ হোক এই দোয়াই তিনি করেছেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মালা রায়, ব্রাত্য বসুকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহকেও দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এদিন জাভেদ খান মন্দিরের দ্বারোঘাটন করেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা সবসময়েই বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টাই আবার করলাম। মন্দিরের দ্বারোদঘাটন একটা উপলক্ষ্য মাত্র কিন্তু আদতে আমরা মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে দিতে চাই।” অন্যদিকে, ব্রাত্য বসুর কথায়, সিএএ থেকে এনআরসি বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রুখে বাংলা সংস্কৃতি রক্ষাই মূলত উদ্দেশ্য বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে মালা রায় জানান, “ধর্মের উপরে উঠে মানবতার কথা বলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা সবাই মিলে বাংলাকে স্বাভাবিক রাখব। এটাই উদ্দেশ্য।” আর সেই কারণেই এই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -