এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ঠিক কত দাম হতে চলেছে করোনা টিকার? থাকবে কি আপনার নাগালের মধ্যে? বড়সড় তথ্য এল সামনে

ঠিক কত দাম হতে চলেছে করোনা টিকার? থাকবে কি আপনার নাগালের মধ্যে? বড়সড় তথ্য এল সামনে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে আশার আলো শোনা গেছে। যেখানে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তার আগে অবশ্য ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেটি জরুরি অবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।

তবে তার মধ্যেই সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে এই ভ্যাকসিন সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য। জানা গেছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল ও নিয়ামক অনুমোদনের উপর নির্ভর করে ভ্যাকসিনটির দুটি প্রয়োজনীয় মাত্রার ডোসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দাম সম্পর্কে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকার কথা বলা হয়েছে।

এদিন সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে প্রতিষেধক তৈরির রসদ, পরিকাঠামো সবকিছু বিবেচনা করে দেশের সমস্ত মানুষকে করোনার টিকা প্রদান করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে বলে জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিষেধক বন্টনের ক্ষেত্রেও একাধিক সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের ৮০- ৯০ শতাংশ মানুষকেই করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা প্রদান করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই প্রতিষেধকের দাম কত হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, ৫-৬ মার্কিন ডলারে এটি পাওয়া যাবে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ টাকা হবে। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সের দামও সমানই হবে বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রতিষেধকের তুলনায় এটি সস্তা হবে বলেও দাবি করেছেন পুনের সেরাম ইনস্টিটিটউটের কর্তা আদার পুনেওয়ালা। অন্যদিকে, ইউরোপের মেডিসিন ইভ্যালুয়েশন সংস্থার থেকে অনুমোদন পাওযার পরই ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চাওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

সেইসঙ্গে প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা নিয়েও আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অক্সফোর্ড ও অ্যাস্টেজেনেকার প্রতিষেধকটি এখনও পর্যন্ত ভালো কাজ করছে। বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ পাওয়া গেছে।” তাঁর কথায়, টি-সেলই মানুষের শরীরে অনাক্রম্যতা ও অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়ার সূচক।

আর সেই টি-সেলকে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন প্ররোচিত করতে পারে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে এই প্রতিষেধকের অ্যান্টিবডি কতদিন মানুষের শরীরে সক্রিয় থাকবে তা এখনও পরীক্ষা সাপেক্ষ বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই প্রতিষেধক শিশুদের ক্ষেত্রেও কতটা সুরক্ষা দেবে তার ফলাফলও এখন পরীক্ষার অপেক্ষাতে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক সংরক্ষণ করার জন্য ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াল তাপমাত্রার প্রয়োজন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!