এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বাংলা দখলে এবার সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি

বাংলা দখলে এবার সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে ভালো ফল করতে হলে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দিকে অবশ্যই টানতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। বাংলায় তৃণমূল সরকারের অগ্রগতির অন্যতম বুনিয়াদ রাজ্যের প্রায় ২৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট তাঁর পাশে থাকা। আর যেহেতু বিজেপির গায়ে ‘অতি হিন্দুত্ত্ববাদী’ তকমা, তাই নির্বাচনের ময়দানে এই বিশাল সংখ্যক ভোটব্যাঙ্ককে দূরে সরিয়ে রেখেই তাদের লড়তে হবে। আর তারফলে তাদের মত অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা নিঃসন্দেহে কঠিন। কিন্তু দীর্ঘদিনের ‘অতি হিন্দুত্ত্ববাদী’ তকমা সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি যে ‘সত্যিকারের সংখ্যালঘু দরদী’ তা প্রমানে মরিয়া বিজেপির দুই শীর্ষ বঙ্গ নেতা দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়।

সম্প্রতি ভারতীয় জনতা মাইনোরিটি মোর্চার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, আর রাজ্যের সরকার শুধু ভাঁওতা দিয়ে ভোট নিয়েছে। শুধু সংখ্যালধু উন্নয়নে ভাঁওতা দেওয়াই নয়, বিজেপিকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। তৃণূমূল প্রচার করে, গুজরাতে মুসলিমদের মেরে ফেলেছে বিজেপি। অথচ দেখুন, গুজরাতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপিই ভোটে জিতছে। তাঁর চ্যালেঞ্জ দুই রাজ্য- গুজরাত আর পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের অবস্থা তুলনা করুন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কারা মুসলিম দরদী আর কারা মুসলিম বিরোধী। এ রাজ্যে এখনও বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি। কংগ্রেস আর বামেদের পর শাসন ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গুজরাতে ক্ষমতায় কংগ্রেসের পর এখন বিজেপি। এ রাজ্যে কোনও সরকারই সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করেনি। গুজরাতে মুসলিমদের জন্য উন্নয়ন করেছে বিজেপি। তাঁরা তাই বিএমডব্লু গাড়ি চড়ছে, আর এ রাজ্যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সাইকেল চড়াচ্ছেন মুসলিমদের। তৃণমূল সরকার মানুষকে ভিক্ষা দিচ্ছে, আর নরেন্দ্র মোদীর সরকার ভিক্ষা দেয় না, স্বনির্ভর করে বাঁচার পথ দেখায়।

দিলীপ বাবুর কথার রেশ টেনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায় রাজ্যের শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমন করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু উন্নয়নের ভাঁওতা দিয়ে ভোটে লড়ছেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাচার কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়িত করা হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি। উল্টে তিনি মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন – সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি সব পূরণ করেছেন তিনি। সংখ্যালঘু ধর্মগুরুরা এখন বুঝতে পারছেন তাঁরা ভুল লোককে চয়ন করেছিলেন। তাঁদের চোখের উপর যে পর্দা ছিল, তা এখন সরে গিয়েছে। মুসলিমরা মুখ্যমন্ত্রীর ওবিসি সার্টিফিকেটের খেলা ধরে ফেলেছেন, এবার তাঁরা যোগ্য জবাব দিতে তৈরি। গত ছ-বছরে এই সরকার রাজ্যের সংখ্যালঘুদের জন্য কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ান দেখলেই বোঝা যাবে। আর উল্টোদিকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার সাড়ে তিন বছরে কী করেছেন তা দেখলেই বুঝতে পারবেন প্রকৃত সংখ্যালঘু দরদী কারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!