নির্বাচনের আগে সভা-সমিতি নিয়ে বড় নির্দেশ প্রশাসনের, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য December 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের। কিন্তু তার আগেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধী তরজা এবং সভা, পাল্টা সভাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সভা-সমিতিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনোরকম গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য এবার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি থানায় এই ব্যাপারে একটি নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমিতির ব্যাপারে প্রশাসনের এই নজরদারি কেন? বস্তুত, গত শনিবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে তীব্র বচসা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামতে হয় পুলিশকে। আর এর পরেই এই ব্যাপারে তৎপরতা অবলম্বন করতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। একাংশ বলছেন, নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসবে, ততই এই রকম ঘটনা ঘটতে শুরু করবে। যার ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়তে পারে। তাই সেরকম ঘটনা ঘটলে তা যাতে প্রথম থেকেই আটকানো যায় এবং যতটা সম্ভব এই ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য এবার উদ্যত হল প্রশাসন। জানা গেছে, ছোট সভা-সমিতি হলেও যাতে প্রশাসন বা স্থানীয় থানা সেটাকে গুরুত্ব দেয়, তার জন্য কলকাতা পুলিশ এলাকার বিভিন্ন থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনোভাবেই কোনো রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলকে এখন খাটো করে দেখতে চাইছে না প্রশাসন। এদিন এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিলের কথা সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনার বা যুগ্ম কমিশনারের নজরে আনতে বলা হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের মতে, গত 10 ডিসেম্বর দক্ষিণ 24 পরগনার একটি এলাকায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। যাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এরকম আরও একগুচ্ছ অভিযোগ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে খাটো করে দেখিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের আচরণ নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন তুলতে পারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাই এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমিতিকে কেন্দ্র করে যাতে অশান্তি না হয়, তার জন্য প্রশাসনের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কলকাতা পুলিশ এলাকায় বিভিন্ন থানায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও, থানাগুলো তা কতটা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -