এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় সিদ্ধান্ত বা সাংগঠনিক রদবদলে ব্রাত্য থাকছেন তৃণমূল বিধায়করাই! ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভের বহর

দলীয় সিদ্ধান্ত বা সাংগঠনিক রদবদলে ব্রাত্য থাকছেন তৃণমূল বিধায়করাই! ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভের বহর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে। এমনিতেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল তাদের জয়ের পথে একাধিকবার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এবার যখন বিজেপি প্রভাব বাড়ছে, তখন সকলকে নিয়ে একত্রিত ভাবে পথ চলার কথা শোনা গেছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। কিন্তু মুখে একথা বললেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এবার দলীয় বিধায়ককে না জানিয়ে শীতলকুচি ব্লকের আটটি অঞ্চলের সভাপতি সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষনা করে দেওয়া নিয়ে তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল তৃণমূল কংগ্রেসের। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার শীতলকুচিতে দলীয় কার্যালয়ে ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতিকে নিয়ে একাধিক পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেন সহ-সভাপতি পূর্ণ গোবিন্দ সিংহ এবং সাহেব আলি মিয়া। যেখানে আটটি অঞ্চলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এইভাবে সভাপতির নাম ঘোষণা করা হলেও, তাকে কিছুই জানানো হয়নি বলে সরব হয়েছেন শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! কেন সংগঠনে পরিবর্তন হবে, আর দলীয় বিধায়ককে জানানো হবে না!

এদিন এই প্রসঙ্গে শীতলকুচি ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাহের মিয়া বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় বিজেপির হার্মাদরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জেলা সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পরেই ব্লক কমিটি সহ অঞ্চল এবং বুথ কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর আর কোনো কমিটি করা হয়নি। জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় হওয়ার পর আমাদের ব্লকে দুজন সহ-সভাপতি ও একজন সদস্য সহ 4 জনের কমিটি হয়েছিল। এলাকার বিধায়কের বিরোধিতার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ফলে আমাদের কর্মীরা অনেকেই বসে যাচ্ছেন। তাই বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাধ্য হয়ে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে আরেক সহ-সভাপতি পূর্ণ গোবিন্দ সিংহ বলেন, “বিধায়ক দলীয় কর্মীদের কথা চিন্তা করছেন না। না হলে অঞ্চল এবং বুথ কমিটি ঘোষণা করতে এভাবে বাধা দিতেন না।” তাহলে তার বিরুদ্ধে দলের সহ-সভাপতি যে অভিযোগ তুলেছেন, তা কি সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, “এভাবে সহ-সভাপতির অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করার কোনো এক্তিয়ার নেই। তারা দলীয় নিয়ম না মেনে অঞ্চল সভাপতি সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছে। আমি এই নিয়ে জেলা এবং রাজ্যে অভিযোগ জানাব। আমাদের ব্লক সভাপতি অঞ্চল কমিটি তালিকা তৈরির কাজ করছেন। শীঘ্রই আমরা অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করব।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একদিকে বিজেপির চাপ যখন বাড়ছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের উচিত সেই বিজেপির মোকাবিলা করা। কিন্তু তৃণমূল তখনই বিজেপির মত দলের মোকাবিলা করতে পারবে, যখন তারা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার কথা বলা হলেও, কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না, তা এই নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্যে দিয়েই কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মত বিশ্লেষকদের। এখন দলীয় বিধায়কের সঙ্গে সহ-সভাপতিদের এই দ্বন্দ্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং এই দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!