এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অসমে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

অসমে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে ৮ জনের তৃণমূল প্রতিনিধি দল শিলচর বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাঁদেরকে এগোতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এমনকি ধস্তাধস্তির পর্যায়ে চলে যায় ব্যাপারটা। এর তীব্র নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একে ‘বর্বরোচিত কাজ’ ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি বিজেপিকে ‘কাপুরুষ’ বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি। এবং জানালেন,বিজেপির বিনাশের সূচনা হয়ে গেছে। গতকালই তিনদিনের দিল্লি সফর খতম করে কোলকাতায় ফিরলেন নেত্রী। বিমানবন্দরে নামতেই সাংবাদিকদের একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়লেন তিনি। মিডিয়ামহল গতকাল শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে হওয়া হেনস্থার বিরুদ্ধে নেত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে তৎপর। নেত্রী জানালেন,’দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে।’

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এদিন কোলকাতার বুকে হাজরায় বিজেপির তরফ থেকে পথ অবরোধ কর্মসূচি করা হয়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে কতগুলো হুলিগান এসব করছে। এবং পাল্টা বাংলায় তাঁদের অস্তিত্বের উপর প্রশ্ন চিহ্নও রাখেন। এবং হুমকি দিয়ে বলেন,বাংলায় ওরকম নাগরিকপঞ্জী তৈরি করার সাহস দেখালে নেত্রীর কোপের শিকার হতে হবে। নবান্নে এদিন নেত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়, অসমে তাঁর বিরুদ্ধে তো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে,এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? উওরে গর্জে উঠে নেত্রী বলেন,’উদ্ধার করে দিয়েছে। আমি বসে আছি বাংলায়, অসমে এফআইআর করে কী হবে?‌ এফআইআর একতরফা করা যায় কি?‌ যেমন দেখাবে, তেমনই দেখবে। আমার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ এফআইআর হলেও আমার কিছু এসে-‌যায় না।’‌ উল্লেখ্য,যে তৃণমূল প্রতিনিধি অসমে ঢুকতে বাধা পান তাঁরা হলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, রত্না দে নাগ, অর্পিতা ঘোষ, মমতা ঠাকুর, সুখেন্দুশেখর রায় ও নাদিমুল হক। এছাড়া মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এঁদের সঙ্গে না গিয়ে পরের বিমানে অসমে যান।

এই প্রতিনিধিদের শিলচরে নামতেই বাঁধা দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি বলে অসমে ঢুকতেই দেওয়া হয় না তাঁদের। এ খবর দিল্লি বসেই পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিমানবন্দরে নেমেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন যে,রাজনাথজি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৮ জন তৃণমূল প্রতিনিধিকে অসমে কোনো রকমভাবেই অসুবিধার মুখে পড়তে হবে না। তা সত্ত্বেও হেনস্থার শিকার হতে হল তাঁদের। এমনকি মহিলা সাংসদদের গায়ে অব্দি হাত তোলা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁদের গ্রেফতার হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বলেই জানালেন এদিন।

এর পাশাপাশি নেত্রী সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করা হয় বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি। জানালেন, এন ডি টিভির সাংবাদিক মনিদীপা ব্যানার্জীকে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এরসঙ্গে জুড়ে এটাও বললেন, অসমে যাঁরাই যেতে চেয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই রাজনীতির লোক। মানুষের পাশে দাঁড়াতেও গেছেন। কথা অনুযায়ী দুজন করে মানুষকেও এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হল না পুলিশের বাধার জেরে। বিজেপি সরকার আসলে ভয় পেয়ে গেছেন বলেই জানালেন নেত্রী। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে যাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আপাতত তিনি বাংলাকে সামলাতে চান। এতোদিন দিল্লিতে থাকায় এদিকের কিছু কাজ বাকি তাঁর। পাশাপাশি এটাও জানালেন যে,মাত্র ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের ছোট্ট মিষ্টি দেশ অসম। এর মধ্যে থেকে আবার ৪০ লাখ বাঙালিকে বাদ দিয়েছে। তিনি অসম যাবেন,তবে লুকিয়ে নয়। এর সঙ্গে জুড়ে বিজেপিকে সরাসরি তোপ দেগে জানালেন,বিজেপি আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের হয়ে মানুষের জন্য এসব অন্যায় বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে। তবে এখন বিজেপির মুখোশ খুলে গেছে তাই এখন ওরা সব গোপন তথ্য আড়াল করায় সচেষ্ট হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আসানসোলের একটি ঘটনা উল্লেখ করে নেত্রী বলেন,আসানসোলে ১৪৪ ধারা জারির দিনগুলোগে কিন্তু বিজেপিরা ওখানে গিয়েছিলো। তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে কিন্তু কাউকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি। যথেষ্ট সংযত আচরণ করা হয়েছে তাঁদের প্রতি। আর এখন অসমের বিজেপিরা এ হেন কাজ করছেন। শিলচরে বিমানবন্দরেই মহিলাদের হেনস্থা করা হল সকলের সামনে। আতঙ্কে ভুগছে অসম শুধু মাত্র বিজেপির জন্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!