এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম শরিকরা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত, নাক গলাচ্ছে কং প্রার্থী নিয়েও! জোটের জটিলতা বাড়ছেই

বাম শরিকরা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত, নাক গলাচ্ছে কং প্রার্থী নিয়েও! জোটের জটিলতা বাড়ছেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কোনোমতেই যে তাদের পক্ষে একা জয় আনা সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। আর তাই এই দুই শিবিরের পক্ষ থেকে জোটের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে আদৌ শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে এই জোট সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা একদিকে আসন বন্টন নিয়ে যেমন বামেদের মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি, ঠিক তেমনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোথায় প্রার্থী দেওয়া হবে, তা নিয়েও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বামেদের অনেক শরিক দলকে মত পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে শুরু করে, তাহলে দুই দলের মধ্যে ভারসাম্য কোনোমতেই বজায় থাকবে না। যার ফলে ভেস্তে যেতে পারে জোট সমীকরণ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের মধ্যে আরএসপি চারটি এবং সিপিএম একটি আসনে লড়াই করে। যেখানে প্রতিবার সিপিএমের পক্ষ থেকে ফালাকাটা আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সিপিএম সেই ফালাকাটা আসন ছেড়ে কুমারগ্রাম বিধানসভা আসনে লড়তে চাইছে। আর এই গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বামফ্রন্টের অন্দরমহলে।

পরিস্থিতি এতটাই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে যে, সিপিএমের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার আলিপুরদুয়ারের যদি প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়কে প্রার্থী করা হয়, তাহলে তারা সেখানে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে না। কেননা গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেবপ্রসাদ রায় বাম-কংগ্রেস জোটের তীব্র বিরোধী ছিলেন। তাই তাকে প্রার্থী করা হলে, তারা যে কোনোমতেই কংগ্রেসকে সমর্থন করবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে কাস্তে-হাতুড়ি শিবির। স্বাভাবিকভাবেই এখন থেকেই যদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি তৈরি হতে শুরু করে, তাহলে জোট রাজনীতি শুরু হলে সমস্যা যে আরও বাড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

কংগ্রেসের বিভিন্ন বিষয়ে যেভাবে সিপিএম মতামত প্রদান করতে শুরু করেছে, তাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব এই বিষয়টিকে ভালোমতো নেবে কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। আর এই সমস্ত সমীকরণের উপর ভিত্তি করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস এবং সিপিএমের নিয়ে জটিলতা বাড়ছে, তাদের শেষ পর্যন্ত সেই জোটের সফলতা যথেষ্ট চিন্তায় পর্যবেক্ষকরা। অনেকে বলছেন, এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হতে পারে, তাদের দলের বিষয়ে কেন সিপিএম মতামত প্রদান করবে! জোট ফর্মুলা দু’দলের মধ্যে হতেই পারে। কিন্তু এক দলের প্রার্থী যদি আরেক দল ঠিক করে দেয়, বা সেই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তেলে-জলে মেশা বড় শক্ত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় বলেন, “আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলা হয়েছে। তাই দলের কর্মীরা জেলায় ভোটের আসন ভাগাভাগির ঐতিহ্য ভাঙতে চাইছে। সেজন্য কর্মীরা দাবি তুলেছেন, ফালাকাটার পাশাপাশি দল এবার যেন কুমারগ্রাম আসনটিতে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের কর্মীদের মধ্যে দাবি উঠতেই পারে। তবে জেলায় কে কোন আসন পাবে, সেটা রাজ্যস্তরে বাম কংগ্রেসের আলোচনাতেই ঠিক হবে। তবে আলিপুরদুয়ার আসনে যদি দেবপ্রসাদবাবুকে কংগ্রেস প্রার্থী করে, সেক্ষেত্রে আমরা কোনোভাবেই কংগ্রেসকে সমর্থন করব না। দেবপ্রসাদবাবু ছাড়া কংগ্রেস আলিপুরদুয়ার আসনে অন্য কাউকে দাঁড় করালে আমরা সমর্থন করব।”

যদিও বা নিজের অবস্থানে অনড় থেকে এই ব্যাপারে পাল্টা সরব হয়েছেন সেই দেবপ্রসাদ রায়। এদিন তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনা চলছে। সেক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারে সিপিএমের এই শর্ত যদি কংগ্রেস মেনে নেয়, সেখানে আমার কি বলার থাকতে পারে! এই বিষয়ে আমার দল সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে বা দেবপ্রসাদবাবুর পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি এই বিষয় নিয়ে দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করে, তাহলে জোট রাজনীতি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!