এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শরণার্থীদের নাগরিকত্বদান প্রক্রিয়াতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্তের মতান্তর

শরণার্থীদের নাগরিকত্বদান প্রক্রিয়াতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্তের মতান্তর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাজ্যের পাঁচটি রাজ্যের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। গুজরাট, হরিয়ানা,পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্রিশগড়ের ১৩ টি জেলায় থাকা শরণার্থীদের এই সুযোগ দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে পাকিস্তান,আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্বের দাবি জানাতে পারবেন। তবে, তালিকায় বাংলার নাম না থাকায় ক্ষোভ বেড়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের।

আর এবার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দান ইস্যুতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে দেখা দিল মতান্তর। এ প্রসঙ্গে মমতা বালা ঠাকুর জানিয়েছেন যে, ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার এটা একটা প্রথম ধাপ।

তিনি জানালেন, পাঞ্জাবের জলন্ধর ও হরিয়ানার ফরিদাবাদে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা অনেক মানুষ বসবাস করেন। তাদের নাগরিকত্বের জন্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে আবেদন জানাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কেন্দ্র সরকার বাঙ্গালীদের বেনাগরিক করে দিতে চায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানালেন যে, রাজ্যে কি করে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে? তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে কোনরকম সহযোগীতা করা হয়নি। আইন কার্যকর হলে শুরু হবে গন্ডগোল। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন যে, এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে না দেখে, সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টির বিবেচনা করতে। তবে, এ প্রসঙ্গে মমতা বালা ঠাকুর প্রশ্ন করেন, নাগরিকত্বের জন্য কেন তাঁদের আবেদন জানাতে হবে? কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হোক যে, তাঁরা সকলেই নাগরিক। তিনি দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই মতুয়া উদ্বাস্তুরা রাজ্যে ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে বাস করলেও এখনো পর্যন্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ নাগরিকত্ব পাননি। নির্বাচনের পূর্বে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। গতকাল শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের তালিকাতে বাংলার নাম না থাকায় যথেষ্ট ক্ষুব্দ হয়েছেন মতুয়ারা। দ্রুত তাঁদের নাগরিকত্ব দানের দাবি জানাতে দেখা গেছে মতুয়াদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!