এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্রের হদিশ, ফাঁস তৃণমূলের একাংশের

করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্রের হদিশ, ফাঁস তৃণমূলের একাংশের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বর্তমানে গোটা দেশ করোনা আতঙ্কে ভুগছে। এ রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। সংক্রামিতর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কিন্তু এখনো বহাল রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। আর এ রকমই একটি ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করেছে কল্যাণী গয়েশপুর শহরের তৃণমূলের একাংশ।

সূত্রের খবর, কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু করে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর এই নিয়েই এবার সতর্কবার্তা দিল কল্যাণী অঞ্চলের তৃণমূলের একটি অংশ। শুক্রবার কল্যাণী কোভিড হাসপাতালের সামনে গয়েশপুর শহর তৃণমূল সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং বেশ কয়েকজন কর্মী একটি সর্কতামূলক প্রচার চালান এবং সেখানেই তাঁরা দাবি তোলেন, যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে যেন অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়দেরও সতর্ক করা হয়েছে, কোনভাবেই যেন কাউকে কোন টাকা পয়সা না দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের গয়েশপুর সহ-সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি কেউ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে বা তাঁর পরিবারের কাছে টাকা চায় তৎক্ষণাৎ যেন স্থানীয় তৃণমূল সংগঠনের কাছে ফোন করে অভিযোগ জানানো হয়।

ইতিমধ্যেই এলাকার সহ-সভাপতি মানিক পাল এবং ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর মোহন রামের ফোন নাম্বার হাসপাতালের সামনে পোস্টারে লিখে দেওয়া হয়েছে রোগীর পরিবারের সাহায্যার্থে। সূত্রের খবর, হাসপাতালে রোগী ভর্তি করানোর জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কল্যাণী কোভিড হাসপাতালের শুকদেব মধু নামক এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তিসহ তাঁর আরও কয়েকজন সঙ্গীসাথীকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর গত 21 শে মে কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে ঠিকাদার রজত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কল্যাণী মহকুমা শাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা পড়ে। যেখানে বলা হয়েছে, এক করোনা রোগীর মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশাল টাকা নিয়েছেন ওই ঠিকাদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ পাওয়া মাত্রই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেই ঠিকাদার শোকজের কি উত্তর দিয়েছেন বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি শোকজ করেছিলেন ওই ঠিকাদারকে, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার জায়গায় কাজ সামলাচ্ছেন ডেপুটি সিএমওএইচ দেবাসিশ সরকার। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখবেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

কল্যাণী কোভিড হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের একাংশ অবশ্য দাবি করছেন, ঠিকাদার রজত মন্ডলের মাথায় প্রভাবশালী হাত রয়েছে। এর আগেও তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং তিনি যথারীতি আবারও ঠিকাদারের দায়িত্ব পেয়েছেন হাসপাতালে। এই একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের গয়েশপুর সহ-সভাপতি মানিক পালও। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এধরনের ব্যাক্তিকে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে গয়েশপুর তৃণমূল শিবিরের একাংশ যেভাবে প্রচার করছেন করোনা রোগীদের সাহায্যার্থে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!