এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার সভার দিনেই বিদ্রোহ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, দলত্যাগের কথা বলে নির্দল হিসেবে লড়াই করার বার্তা!

মমতার সভার দিনেই বিদ্রোহ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, দলত্যাগের কথা বলে নির্দল হিসেবে লড়াই করার বার্তা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুক্রবার 291 টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরেই রীতিমত অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। একের পরে এক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে না পেরে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শিলিগুড়িতে সভা করছেন, ঠিক তখনই দলত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল। যেখানে নির্দল হিসেবেই তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে জানালেন এই তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় শিলিগুড়িতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিশিষ্ট অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের নাম। অনেকেই বলছেন, এখানে ওমপ্রকাশ বাবুর তেমন পরিচিতি নেই। কিন্তু বিগত 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন বামেদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে, তখনও এখানে জয়লাভ করেছিলেন সিপিএমের অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। এমনকি 2016 তেও তার জয় আটকাতে পারেননি কেউ। কিন্তু এবার এই আসন দখলে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস বহু চেষ্টা করেছে‌। তবে ওমপ্রকাশ মিশ্রের মত মানুষকে এখানে প্রার্থী করলে তৃণমূল কতটা লাভ করতে পারবে, তা এখন যথেষ্ট সংশয়ের বিষয়।

আর এই পরিস্থিতিতে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে দলত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর নান্টু পাল। তবে শুধু দলত্যাগ নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াবেন, সেকথাও জানিয়ে দেন এই তৃণমূল নেতা। এদিন এই প্রসঙ্গে নান্টু পাল বলেন, “এবার আমরা দলগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, শহরের কাউকে প্রার্থী করা হোক। শিলিগুড়ির বাইরের কাউকে যেন প্রার্থী করা না হয়। কিন্তু তা না হওয়ায় আমি মর্মাহত। মেনে নিতে পারছি না। কদিন আগে পর্যন্ত যিনি মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করতেন, তাকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে চাপে ফেলবে বলে দাবি করছে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে পর্যুদস্ত করতে হলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রূপ সামনে আনা অত্যন্ত জরুরী। সেদিক থেকে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই যেভাবে তৃণমূলের বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে ঘাসফুল শিবির কতটা ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলতে সক্ষম হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

নান্টু পালের মত দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতারা যদি এইভাবে দলত্যাগ করতে শুরু করেন, তাহলে তা যে তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিদ্রোহী এই তৃণমূল নেতার মানভঞ্জন করতে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!