“এই নির্বাচন কমিশন থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না” বিস্ফোরক তথ্য পেশ করে সরব মমতা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য April 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী 29 শে এপ্রিল রাজ্যের শেষ তথা অষ্টম দফার নির্বাচন। তারপরই সকলকে অপেক্ষা করতে হবে, বাংলার ক্ষমতা কারা দখল করছে তা জানবার জন্য। তবে সোমবার যখন সপ্তম দফার নির্বাচন চলছে, ঠিক তখনই অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচনের প্রচার করতে গিয়ে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি নিয়ে কার্যত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে যেখানে তৃণমূলকে গুন্ডা বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও বিস্ফোরক তথ্য পেশ করলেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই সপ্তম দফার নির্বাচনের দিন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বলা বাহুল্য, নির্বাচনী প্রচারে বারবার তৃণমূল নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সরাসরি তৃণমূলকে “গুন্ডা” বলে উল্লেখ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, আজ শেষ দফার নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাকে। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ভেবেছিলাম হয়ত, নির্বাচন কমিশনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু হয়নি। একটা তালিকা করেছে নির্বাচন কমিশন কলকাতা পুলিশকে দিয়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাতে তৃণমূল গুনস মানে তৃণমূলের গুন্ডা বলে উল্লেখ করছে ওরা। একটা গ্রেপ্তারির তালিকাও করেছে। আমরা এসব সহ্য করব না।” আর এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিশনের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্যের পর, এবার যেভাবে তিনি এই অভিযোগ করলেন, তা কার্যত শোরগোল ফেলে দিল রাজ্য রাজনীতিতে। একাংশ বলছেন, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অষ্টম দফার নির্বাচন উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল নেত্রী এই মন্তব্য করে আরও একবার কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। কিন্তু তার এই মন্তব্যের মধ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। যেভাবে প্রথম থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য খণ্ডন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কমিশনের আধিকারিকরা কোনোভাবেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়নি। তবে তারপরেও অষ্টম দফার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -