এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশের দম নেই, চাকর বলে তুলোধোনা সুকান্তর! কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আওয়াজ!

মমতা পুলিশের দম নেই, চাকর বলে তুলোধোনা সুকান্তর! কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আওয়াজ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্য সরকার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। কিন্তু অনেকেই সেটা মানতে চাননি। তবে সম্প্রতি সন্দেশখালির মত এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভীষিকা ময় ঘটনার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, দিকে দিকে বাংলা জুড়ে তৈরি হয়েছে সন্ত্রাসের আতুড়ঘর। শেখ শাহজাহানের মত তৃণমূল নেতারা তা না হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা করতে সাহস পেতেন না। তার ইন্ধনে ঘটত না এতবড় ঘটনা। কিন্তু তারপর থেকে সেই শেখ শাহজাহান কার্যত গায়েব। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ইচ্ছে করেই পুলিশ তাকে ধরছে না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর এসবের মাঝেই আজ ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচি করতে গিয়ে সেই পুলিশকে চাকর বলে অভিহিত করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখন সুকান্তবাবুর এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই পারে। কিন্তু তিনি যে বিষয় নিয়ে পুলিশকেই আক্রমণ করেছেন, তা যথেষ্ট সংযত। কেননা পুলিশের কাজ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা। সেখানে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার এতদিন পরেও যদি সেই পুলিশ এই কাজ করতে না পারে, তাহলে তো বুঝে নিতে হবে যে, রাজ্য পুলিশের হিম্মত বলে কিছু নেই। তারা শুধু বিরোধীদের গ্রেপ্তার করতে পারে এবং বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, এদিন ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচি করতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আর সেখানেই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানের চাকর হয়ে গিয়েছে। এই পুলিশের দ্বারা কিছু হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। তাহলেই কাজের কাজ হবে।” অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা হওয়ার পর যে পুলিশ পদক্ষেপ নিতে পারে না, তৃণমূল নেতা লুকিয়ে থাকলেও যে পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাতে পারে না, সেই পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে, এমনটা বলাই যায়। অথচ হবে নাই বা কেন? যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিজের কাজে ব্যবহার করেন, দলদাস করে তোলেন, সেই পুলিশের কাছ থেকে এমন হতাশা জনক পদক্ষেপ আশা করা যাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। যেখানে বিরোধী নেতারা জানেন যে, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে, যেখানে বিরোধী নেতারা এটাও বলছেন যে, পুলিশ এক মিনিটে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে, সেখানে পুলিশ কেন নীরবে রয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। অর্থাৎ পুলিশ মন্ত্রীর কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল আসেনি এবং ওপরতলার বারণ রয়েছে জন্যেই যে শেখ শাহজাহানকে ছেড়ে রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যে প্রশাসন বলে আর কিছু নেই। সমস্তটাই ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গ বোমা, বারুদ সন্ত্রাসবাদীদের আতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। তাই পুলিশের আজ নীরব হয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই। যদি অপরাধীদের জেলে ঢোকাতে হয়, তাদের যদি শায়েস্তা করতে হয়, পশ্চিমবঙ্গে যদি সুশাসন আনতে হয়, তাহলে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডোজেই শান্ত হবে, অপরাধমুক্ত হয়ে উঠবে বাংলা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কতটা ঔদ্ধত্য থাকলে শেখ শাহজাহান শুধুমাত্র তৃণমূল নেতার ক্ষমতা নিয়ে এত বড় অপরাধ করতে পারেন! কিন্তু তারপরেও তিনি কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছেন, অথচ তাকে নাকি পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না! এটা কেউ বিশ্বাস করতে পারবে? আসলে পুলিশ সবটাই জানে। কিন্তু তারা শেখ শাহাজাহানকে বাঁচাতে চাইছে। কারণ শেখ শাহজাহান যদি ধরা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে, তাহলে তিনি অনেক তথ্য ফাঁস করে দিতে পারেন। আর সেই তথ্যে গুমোর ভেঙে যাবে শাসকদলের ওপর মহলের। পুলিশের হাতে তদন্ত দিলে শেখ শাহজাহানকে আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। এভাবেই ঢিলে গতিতে প্রতিদিন অপেক্ষায় টিভির পর্দায় চাপ রাখতে হবে রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণকে। তাই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অ্যাকশন। পুলিশকে কি করে সোজা করতে হয় এবং দুষ্কৃতীদের কি করে জেলে পুড়তে হয়, তা দেখিয়ে দেবে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!