মমতার নির্দেশেই ইডির ওপর হামলা? শাহজাহান কান্ডে চমকে দিলেন হেভিওয়েট! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শেখ শাহজাহান, শওকত মোল্লারা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের কতটা ঘনিষ্ঠ, তা বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি সেই শেখ শাহজাহান এমন এক কান্ড ঘটিয়েছেন, যার ফলে মুখ পুড়েছে রাজ্যের শাসক দলের। এখন লোক চক্ষুর আড়ালে কোথাও একটা গায়েব হয়ে রয়েছেন সেই শাহজাহান। তার গ্রেপ্তারির দাবিতে সোচ্চার হয়ে পথে নামছে বিরোধীরা। কিন্তু পুলিশ নাকি তাকেই খুঁজেই পাচ্ছে না! কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার হলে যে বড় কোনো তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে, আর সেই ভয়েই যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চাইছে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধী শিবির। আর এসবের মাঝেই এবার ইডির ওপর হামলার ঘটনায় যেভাবে সেই শেখ শাহজাহান চাপে পড়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন, তাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি এদিন এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যার পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে প্রবল চাপে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কি এমন বললেন সুকান্ত মজুমদার? প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে তদন্ত করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। আর সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। আর তারপর থেকেই তিনি কার্যত গায়েব হয়ে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়েছে। এদিন সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও চাপের মুখে ফেলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাকে দিয়ে তারা অনেক কাজ করিয়েছেন। কি কি কাজ করিয়েছেন, তা পরবর্তীতে সামনে আসবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা ছাড়া এই কাজ হতে পারে না। তার নির্দেশেই শেখ শাহাজাহান ইডির উপর এইভাবে হামলা করেছেন। এটা পূর্বপরিকল্পিত।” অনেকে বলছেন, বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে তৃনমূলের একের পর এক নেতা মন্ত্রীকে জেলে যেতে হয়েছে। তবে শেখ শাহজাহান অনেক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাই তিনি যদি গ্রেপ্তার হয়ে যেতেন বা তাকে এজেন্সি ধরে নিত, তাহলে তার কাছ থেকে অনেক তথ্য ফাঁস হয়ে যেত তৃণমূলের ওপরতলার নেতাদের সম্পর্কে। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই সন্দেশখালিতে যেতেই তার ওপর হামলা করে গোটা বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন শেখ শাহাজাহান এবং তার বাহিনী। তবে এই নির্দেশ যে একদম শীর্ষস্তর থেকেই এসেছে, তাছাড়া যে শাহজাহান একা একা এই কাণ্ড ঘটানোর সাহস পেতেন না, সেই ব্যাপারে সংশয় নেই সমালোচকদের মধ্যেও। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ভোট লুট করা থেকে শুরু করে ওপর তলায় টাকা পাঠানো, সবকিছুই করতেন এই শেখ শাহজাহান। তাই তিনি ধরা পড়লে অনেক গোপন তথ্য সামনে আসতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এইসব আটকাতে কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওপরতলা থেকেই, সেটা তো স্পষ্ট। তা না হলে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে এতদিন পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলতেই পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি মুখে রা কাটছেন না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, গোড়ায় গলদ। তাই গোটা ঘটনায় কার নির্দেশে গায়েব হয়ে রয়েছেন শেখ শাহজাহান এবং কার নির্দেশে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তার তদন্ত হওয়া জরুরি। তাহলে আরও অনেক বড় বড় মাথা ফেঁসে যাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য প্রশাসনের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হত, যদি শেখ শাহজাহান তাদের সম্পদ না হতেন, তাহলে এতদিনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিত। এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও একটা মানুষ কিভাবে কোথায় গায়েব হয়ে রয়েছেন, সেটা সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানে না, এটা হতেই পারে না। ফলে ওপরতলার একটা বড় সাপোর্ট যে এই শাহজাহানের ক্ষেত্রে রয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আর সেই সব কিছুর ভিত্তিতেই এই সম্ভাবনা স্পষ্ট হচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যে রাগ ছিল, সেই রাগকে সুদে আসলে মিটিয়ে নিতে শেখ শাহজাহানকে কাজে লাগিয়েছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার ফল স্বরূপ এই বাংলার বুকে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা নেমে এলো। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -