এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুদ্ধিকরণের হাত ধরে এবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত দাপুটে নেতা, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

শুদ্ধিকরণের হাত ধরে এবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত দাপুটে নেতা, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরে শাসক দল তৃণমূল অর্থাৎ এবারের ভোটে প্রত্যাবর্তন হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। কিন্তু ভোটের আগের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। তৃণমূল শিবির ছেড়ে দলে দলে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করে। অনেকেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরেও গেরুয়া শিবিরে ভিড় জমান। আবার অনেককে বুঝিয়ে-সুজিয়ে ভোট পর্যন্ত চুপ করিয়ে রাখা হয় তৃণমূলেই। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। যারা ভোটের আগে তৃণমূল শিবিরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কিংবা ভোটের সময় সহযোগিতা করেননি, সেই সব নেতাদের এবার দল থেকে বহিষ্কৃত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত 213 টি আসনে ভোটে জিতলেও দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই সূত্রেই বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনের সময় দল বিরোধী কাজের জন্য। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার 5 জন নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন কালিয়াচক 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চম্পা মন্ডল, বিজন মন্ডল, হামিদপুর অঞ্চলের প্রধান জুলেখা বিবি এবং গঙ্গাপ্রসাদ অঞ্চলের প্রধান আমিনুল ইসলাম। মালদার কালিয়াচক ব্লক 2 তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই পাঁচ নেতা ভোটের সময় অন্য দলের হয়ে কাজ করেছে টাকার বিনিময়ে।

আর সেই কারণেই তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মন্ডল এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকেও বহিষ্কার করেছেন দলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করার। আর এবার নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হল দমদমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা প্রবীর পালকে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হলেন এই প্রবীর পাল। তার ওপর এবারের নির্বাচনে দমদমের দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, দুটি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের লিড কমে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একটি ওয়ার্ডে 500 ভোট অন্যটায় 300 ভোট কম পেয়েছে তৃণমূল। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই দুটি ওয়ার্ড এবং এরপরেই তৃণমূল নেতা প্রবীর পালকে ডেকে পাঠানো হয় ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু প্রবীর পাল দেখা করেননা। যথারীতি প্রবীর পালের বিরুদ্ধে শোকজ জারি করা হয় দলের পক্ষ থেকে। সেই শোকজের উত্তরেও সেভাবে সাড়া দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। আর এরপরেই সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন শীর্ষ নেতৃত্বদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রবীর পালকে তৃণমূল শিবির থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রবীর পাল গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।

এবং ফলস্বরূপ এবারের নির্বাচনে তিনি যথেষ্ট নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল শিবিরের ভেতরে থেকে অনেকেই যে অন্য দলের হয়ে কাজ করেছেন তা কিন্তু দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে এবং সে কারণেই শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরের শুদ্ধিকরণ। তবে বহিষ্কার নিয়ে এখনো পর্যন্ত দমদমের দাপুটে নেতা প্রবীর পাল কোন মন্তব্য করতে চাননি। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগেও প্রবীর পাল দল ছাড়তে চলেছেন এরকম গুঞ্জন শোনা যায়। সেসময় ব্রাত্য বসু নিজে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্রই তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে বোঝানো শুরু হয়ে গেছে দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতা কোনমতেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!