এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, বিজেপি নেতাদের কথোপকথন ভাইরাল! অস্বস্তি তুঙ্গে!

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, বিজেপি নেতাদের কথোপকথন ভাইরাল! অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গোটা রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সেই করোনা ভাইরাসকে দমাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। লকডাউন না করা হলেও, একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করে মানুষকে কিছুটা হলেও সমস্যা পোহাতে হয়েছে। দ্রুত যাতে করোনা ভাইরাস কমানো যায়, তার ওপর জোর দিচ্ছেন সকলে। কিন্তু এই অবস্থায় সরকারকে চাপে ফেলার জন্য সেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করার অভিযোগ উঠল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে।

যেখানে দুর্যোগের সময় মানুষকে বিপদে ফেলতে বিজেপির পক্ষ থেকে চক্রান্ত করে বেশি লোক একসাথে রাখার ব্যাপারে পরিকল্পনার একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই কথোপকথনকে হাতিয়ার করে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতাদের একটি হোয়াটস অ্যাপের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে, পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী লিখেছেন, “সবথেকে ভালো হবে, বেশি করে লোক স্কুলগুলোতে ঢুকিয়ে দাও। আর সবাইকে বলে দাও যে, সবাই ঘর পাবে। যত বেশি লোক একসাথে থাকবে, করোনা হবে, আর সরকার ফাঁসবে। প্রত্যেকটি অঞ্চলে খবর দিয়ে দাও।”

আর এরপরই সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “আপনি বলে দিন। সেন্ট্রালকে বলে আমি মিডিয়াতে দিয়ে দেব। আমাদের কর্মীদেরকে বলতে হবে বেশি করে ফটো ভিডিও করতে।” স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির জেলা সভাপতি এবং সাংসদ যে সরকারকে বদনাম করার জন্যই এই রকম কথোপকথন করেছেন এবং একটা পরিকল্পনা চলছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই বর্তমানে হোয়াটস-অ্যাপের সেই কথোপকথন ভাইরাল করে দিয়ে বিজেপিকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “এই রকম একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন স্বয়ং নির্বাচিত একজন সাংসদ। এর আগেও বারবার বিভিন্ন রকম চক্রান্ত রচিত হয়েছে, যেগুলো আমরা বুঝতে পারিনি। আজ সবটা জনসমক্ষে আছে। ভাবতেও লজ্জা করছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বহু চেষ্টা করেও বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। কোনোমতে 77 টি আসন পেয়ে তারা রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গঠনগত বিরোধী দলের ভূমিকা বিজেপি পালন করবে বলেই আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু এই হোয়াটস অ্যাপের কথোপকথন ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি যে জঘন্য রাজনীতি করছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেল একাংশ। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সত্যিই তো! এভাবে করোনা যেখানে কমানোর চেষ্টা করছে সরকার, সেখানে কেন বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের পরিকল্পনা করা হবে? তবে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও, তাকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটাই ভিত্তিহীন। এই কাজ তৃণমূলের চক্রান্ত। আমি আইনত ব্যবস্থা নেব।”

তবে বিজেপি সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় গেরুয়া শিবির যে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!