তৃণমূলের বিরোধীতা বড় ভুল! সূর্যের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা! তৃণমূল বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য May 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিমটিম করে জ্বলছিল বামেদের বাতি। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়নি বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করার পাশাপাশি এবারে সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃনমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নামার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। সেই মত করে নির্বাচনী প্রচারে দুই দলকে কার্যত এক ছাতার তলায় রেখে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল বামেদের। কিন্তু এতসবের পরেও লাভ হয়নি। বাম এবং কংগ্রেস একটিও আসন দখল করতে পারেনি। সেদিক থেকে প্রথম রাজনৈতিক দল গঠন করে লড়াই করে কার্যত একজন প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তবে একটি আসনও যে তারা এবার দখল করতে পারবে না, এইরকম স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি বামেরা। সেদিক থেকে বর্তমানে তারা দলীয় স্তরে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে, কেন এই খারাপ ফলাফল হল! আর সেই পর্যালোচনা করতে বসে তৃণমূলের অন্ধ বিরোধিতা করাই যে সব থেকে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বামেদের পক্ষে, সেই আলোচনা বারেবারে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। যার জেরে রীতিমত তৃণমূল বিরোধিতার ঘটনাটি তুলে ধরে ভুল স্বীকার করতে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। সূত্রের খবর, শনিবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্ধ বিরোধিতা করা যে সব থেকে বড় ভরাডুবির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বামেদের পক্ষে, তা আলোচনায় উঠে আসে। বস্তুত, 2011 সালের 34 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে থাকা বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হতে শুরু করে বামেরা। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের পেছনে ফেলে তাদের ভোটের সিংহভাগ বিজেপির দিকে যাওয়ার কারণে গেরুয়া শিবির বাংলা থেকে 18 টি সাংসদ লোকসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপর বিজেপিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রমশ তারা নিজেদের দিকে নিয়ে ধীরে ধীরে উত্থান ঘটাতে শুরু করে। আর তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন হয় সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে। যেখানে বামেরা একটিও কেন্দ্রে জয়লাভ করতে পারেনি। যার জেরে বামেদের এই সাংগঠনিক দশা দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক তৃণমূল নেতা। অনেককেই বলতে শোনা গেছে, বিজেপির থেকে বামেরা তুলনামূলক ভালো ফল করলে সুবিধা হত। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূল বিরোধীতাকেই বড় সমস্যা বলে তুলে ধরতে দেখা গেল বাম নেতৃত্বদের। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, দেরিতে হলেও সিপিএম নেতৃত্ব তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই শুধুমাত্র বিরোধিতা করা ছাড়া আর অন্য কোনো রাস্তা ছিল না বাম নেতৃত্বদের। এক্ষেত্রে সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য কোনোকালেই তেমন কোনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি তাদের। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই যখন তাদের দলে ভাঙন ধরতে শুরু করেছিল, তারপরেও প্রবীণতন্ত্র বাদ দিয়ে নবীনদের দলে জায়গা দেয়নি বামফ্রন্ট। যার খেসারত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তাদের দিতে হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিরোধীতা করে যাওয়া যে সব থেকে বড় ভুল হয়েছে তাদের, তা দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে কার্যত স্বীকার করে নিতে হল সূর্যকান্ত মিশ্রদের। সব মিলিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াতে সিপিএম নেতৃত্ব কি পদ্ধতি প্রয়োগ করে, কিভাবে চাঙ্গা করে নিজেদের সংগঠন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -