এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খুনের মামলায় হাজিরা এড়ানোয় নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মুকুল রায়, প্রশ্ন উঠছে তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়েও

খুনের মামলায় হাজিরা এড়ানোয় নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মুকুল রায়, প্রশ্ন উঠছে তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়েও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চলছে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। আর এবার বিতর্ক শুরু হল আদালতে হাজিরা নিয়ে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীটে অভিযুক্ত হয়েছেন যেমন জগন্নাথ সরকার তেমনি সন্দেহভাজনের তালিকায় গিয়েছেন মুকুল রায়। আদালতে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ হাজিরা দিলেও মুকুল রায় যিনি বর্তমানে তৃণমূলে, তিনি কিন্তু আদালতের হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। প্রথম থেকেই অবশ্য এই খুনের পেছনে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন।

যার মধ্যে অন্যতম হলেন আজকের তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। 2019 সালের 9 ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর আগের দিন রাতে খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। 10 ফেব্রুয়ারি নিহত তৃণমূল নেতার সঙ্গী মিলন সাহা হাঁসখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিআইডি তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করে অভিজিত পুন্ডারি সহ 5 জনকে। এরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী বলে জানা যায়। পাশাপাশি আদালত সূত্রে এফআইআরে সন্দেহভাজন হিসেবে নাম উঠে আসে বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার এবং তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। অন্যদিকে এফআইআর-এ নাম থাকলেও কিন্তু বাদ দেওয়া হয় মুকুল এবং জগন্নাথের নাম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে আদালতের আপত্তিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ সরকারকে বেশ কয়েক দফায় জেরা চালায় সিআইডি। অন্যদিকে রানাঘাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয়ী চৌধুরীর এজলাসে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেন এবং সেখানে খুনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 এবং 120 ধারায় জগন্নাথ সাহাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মুকুল রায় কিন্তু সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই খুনের মামলা এড়ানোর জন্যই মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

সেক্ষেত্রে অবশ্য সত্যজিৎ বিশ্বাস এর স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে যদি মুকুল রায়ের কোন যোগাযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে দল কোনোভাবেই তা প্রশ্রয় দেবেনা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সাংসদের নাম অভিযুক্তের তালিকায় উঠে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির ব্যাপক চাপানউতোর। পাশাপাশি বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তের তালিকা থেকে মুকুল রায়ের নাম বাদ হওয়া নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপাতত তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!