এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই দেশজুড়ে করদাতারা ভরিয়ে দিলেন দেশের অর্থভান্ডার

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই দেশজুড়ে করদাতারা ভরিয়ে দিলেন দেশের অর্থভান্ডার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার প্রথম ঢেউ যখন এসে ধাক্কা দিয়েছিল দেশে গত বছর, তখন থেকে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভাঙতে থাকে। এক সময় প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে দেশের অর্থভান্ডার বলে জানা যায়। আর তাই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু এবছর যাবতীয় বিরোধিতা এবং সমালোচনাকে ঢেকে দিল প্রত্যক্ষ করের হিসেব। সূত্রের খবর, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই যেভাবে প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

জানা গিয়েছে, 2021-22 অর্থবর্ষে অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল থেকে 15 জুন রিফান্ডের পর নিট হিসেব অনুযায়ী 1 লক্ষ 85 হাজার 871 টাকা সরকারের ঘরে জমা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় প্রায় 92 হাজার 762 কোটি টাকা দ্বিগুণ কর আদায় হয়েছে। আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে 74,356 কোটি টাকা কর্পোরেট কর বলে জানা যায়। এবং সিকিউরিটি ট্রানজ্যাকশন ট্যাক্স নিয়ে ব্যক্তিগত কর আদায় হয়েছে প্রায় 1 কোটি 11 লাখ টাকা। গতবছর করোনার প্রথম ধাক্কায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল লকডাউন। ফলস্বরূপ দেশের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খেয়েছিল। প্রভাব পড়েছিল গতবছরের কর আদায়ের ক্ষেত্রেও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আয়কর দাতাদের জন্য নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প এবং এই প্রকল্পের মেয়াদ ক্রমাগত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চলছে। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য বিশেষে কড়াকড়ি করা হয়েছে। তবে এর মধ্যেও ভালো কর আদায়ের কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, মূলত ব্যক্তিগত আয়কর এবং আগাম কর জমা বৃদ্ধি। আয়কর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত পয়লা এপ্রিল থেকে 15 ই জুন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে 2.16 লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যার মধ্যে রিফান্ড দেওয়া হয়েছে 30 হাজার 731 কোটি টাকা।

বাদবাকি অংকের মধ্যে 28 হাজার 780 কোটি টাকা আগাম জমা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই আগাম করের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় প্রায় 146% বেশি কর জমা পড়েছে। অন্যদিকে এবছর উৎস কর কাটা হয়েছে 1 লাখ 56 হাজার 824 কোটি। পাশাপাশি, ব্যক্তিগত হিসেব করার পর 15 হাজার 343 কোটি টাকা জমা দিয়েছেন করদাতারা। আর এর সাথে নিয়মিত হিসেব অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছে কর জমা পড়েছে 14079 কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় কেন্দ্রের অর্থভাণ্ডার এবার অনেকটা সামাল দেওয়া গিয়েছে। একইসাথে কেন্দ্রীয় সরকারও যথেষ্ট স্বস্তিতে। এ বছরের হিসেব অন্তত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!