এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজনৈতিক দ্বৈরথের ঊর্ধ্বে উঠে মুকুলকে ফোন বিজেপি সাংসদের, শুভ্রাংশুর পাশে থাকার বার্তা!

রাজনৈতিক দ্বৈরথের ঊর্ধ্বে উঠে মুকুলকে ফোন বিজেপি সাংসদের, শুভ্রাংশুর পাশে থাকার বার্তা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘদিন একসাথে ঘর করেছেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেসে শুধু নয়, মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হওয়ার পর তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম প্রথম তালিকায় যুক্ত হয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মূলত, মুকুল রায়ের হাত ধরে তার বিজেপিতে অভিষেক সম্পন্ন হয়। তবে সেই মুকুল রায় বর্তমানে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তার হাত দিয়ে একসময় বিজেপিতে যোগদান করা বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের সহধর্মিনী কৃষ্ণা রায়ের প্রয়াত হওয়ার খবর পেয়েই একসময় যাকে নিজের রাজনৈতিক অভিভাবক বলে সম্বোধন করতেন সৌমিত্রবাবু, সেই মুকুল রায়কে ফোন করলেন তিনি। প্রয়াত কৃষ্ণাদেবীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করার পাশাপাশি মুকুলবাবু এবং তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন সৌমিত্রবাবু।

বস্তুত, সম্প্রতি ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য মুকুল রায়ের সহধর্মিনীকে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইয়ে। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর তারপরেই একাকী তৃণমূলের নানা হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছতে শুরু করেন। আর এবার শিবির পরিবর্তন করলেও, একসময় যে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই মুকুলবাবুকে ফোন করে সমবেদনা জানান সৌমিত্র খাঁ। কি কথা হল মুকুল রায়ের সাথে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সৌমিত্রবাবু বলেন, “আমি অনেকবার মুকুলদার বাড়ি গিয়েছিলাম। এখানেও, দিল্লিতেও। কাকিমা নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতেন। ওনাদের  শোকের সময়। সবকিছুতে রাজনীতি দেখলে চলে না। আমি ঈশ্বরের কাছে চাইব, ওনাদের যেন শোক সহ্য করার শক্তি দেওয়া হয়। মুকুলদাকে ফোন করেছিলাম। কথা হয়েছে। ওনার চাপ অনেক বেড়ে গেল। এই সব সময় সান্তনা দেওয়া ছাড়া তো আর কিছু করার থাকে না।” এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে মা হারানো মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সৌমিত্রবাবু। তিনি বলেন, ‘কাকিমার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। শুভ্রাংশুকে আরও শক্ত হতে হবে।”

একাংশ বলছেন, সৌমিত্রবাবু তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিভাবক মুকুল রায়ের সহধর্মিনী প্রয়াত হওয়ার পরেই তাকে ফোন করে কার্যত সৌজন্যের পরিচয় দিলেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক শিবির আলাদা হতে পারে। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত নাম মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু।

পরবর্তীতে বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুলবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লেখালে তাকে নানা ভাষায় কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু মুকুল রায়ের সহধর্মিনী প্রয়াত হওয়ার সাথে সাথেই তাঁর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ভাই হিসেবে সৌমিত্রবাবু দাদাকে ফোন করলেন। যাকে রাজনৈতিকভাবে বিশেষজ্ঞরা যে পর্যায়েই নিয়ে যান না কেন, গোটা বিষয়টি যে সৌজন্যের বাতাবরণেই মোড়া, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!