এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সুকান্তর জয় নিশ্চিত, বালুরঘাটে পৌঁছেই হারের স্বাদ পেলেন বিপ্লব! চিন্তায় তৃণমূল!

সুকান্তর জয় নিশ্চিত, বালুরঘাটে পৌঁছেই হারের স্বাদ পেলেন বিপ্লব! চিন্তায় তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ওজনদার লোকসভা কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র। আত্রেয়ী নদীর জল দিয়ে অনেক কিছু বয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাটের দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের। কারণ এবারে এখানকার প্রার্থী বিজেপির প্রার্থী রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বালুরঘাটের ভূমিপুত্র রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে। স্বাভাবিক ভাবেই ভূমিপুত্র বনাম ভূমিপুত্রর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জয়লাভ করবে, তার দিকে অবশ্যই সকলের নজর থাকবে। তবে কথায় আছে, জল কোন দিকে গড়াবে, তা প্রথম জলের স্রোত দেখেই বোঝা যায়। তৃণমূলের আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। তবে তারা আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আর তারপরেই বালুরঘাটে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে অভ্যর্থনা পেয়েছেন, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা যেভাবে তাকে কাছে টেনে নিয়েছেন, তা কিন্তু নজর কেড়েছে সকলের। কিন্তু আজ তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বালুরঘাটে সাত সকালে ট্রেনে করে নামতেই তাকে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে থেকে অভিনন্দন জানানো হলেও, চিত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, সুকান্ত মজুমদার যে অভ্যর্থনা পেয়েছেন, বিপ্লব মিত্র তো সেই একই কায়দায় শুভেচ্ছা পেয়েছেন। তাহলে আলাদা চিত্র হলো কোথা থেকে?

প্রসঙ্গত, এদিন বিপ্লব মিত্র বালুরঘাটে প্রার্থী হওয়ার পর প্রথম পা রাখেন। কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে সেখানে তৃণমূলের সকল কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন না। শুধুমাত্র বিপ্লব মিত্রের অনুগামী বলে যারা পরিচিত, তারাই ঢাক ঢোল নিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে পড়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূলের গোটা পরিবার কিন্তু বিপ্লব মিত্রের এই প্রার্থী হওয়াতে খুশি নয়। বিপ্লববাবুর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই যে, তিনি নিজের সাত ভাই এবং পরিবার ছাড়া আর কাউকেই বোঝেন না। সুতরাং নিজের পরিবারকে যিনি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর, এই রকম একটি পরিবার বাদের স্বার্থসিদ্ধ পূরণে সুযোগ সন্ধানী বিপ্লববাবুর বিরুদ্ধেই ভোট করাতে তৎপর তৃণমূলের নিচু তলার কর্মীরা। আর এখানেই ভোটে লড়াই করা তো দূরের কথা, বিপ্লববাবু জেলায় পা রাখার পরেই সুকান্তবাবু এবং তার দলের কর্মী সমর্থকরা রীতিমত চওড়া হাসি দিতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, সবে তো খেলা শুরু। ভোটের বাক্সে যখন রেজাল্ট কাউন্ট করা হবে, তখন বিপ্লববাবুর নাম নিশান খুঁজে পাওয়া যাবে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বলত, দিনাজপুরের চিত্র বিপ্লব মিত্র। কিন্তু এখন সেই তৃণমূলের কর্মীরাই বিপ্লববাবু প্রার্থী হওয়ার পর মনে মনে বিদ্রোহ পোষণ করতে শুরু করেছেন। ওপরে অনেকেই দেখাচ্ছেন যে, সকলেই বিপ্লব মিত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে খুশি। কিন্তু তলায় তলায় বিপ্লব বাবুর বিরুদ্ধে তল কাটার জন্য তৈরি তৃণমূলের নেতারাই। দলে থেকে দলের প্রার্থীর জন্য প্রচার না করলে আবার অনেক নেতার পদ চলে যাবে। তাই এখন মান-অভিমান যাই থাক না কেন, সেটাকে বুকে রেখে ঘোর বিপ্লব মিত্র বিরোধী তৃণমূলের নেতারাও রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। তারা এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন তারা সব থেকে বেশি বিপ্লব মিত্রপন্থী। তবে যাই হোক না কেন, বিপ্লব মিত্র যে এখানে রেকর্ড ভোটে সুকান্তবাবুর কাছে পরাজিত হচ্ছেন, সেই আভাস বালুরঘাটে নেমে তিনিও পেয়ে গিয়েছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!