এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জ্যোতিপ্রিয় জেলে, গড় রক্ষায় গিয়েও চরম ব্যার্থ মমতা! জয়ের হাসি শুভেন্দুর!

জ্যোতিপ্রিয় জেলে, গড় রক্ষায় গিয়েও চরম ব্যার্থ মমতা! জয়ের হাসি শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব সময় সুবিধাবাদী রাজনীতি করে অভ্যস্ত। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন, কি করে মানুষকে বোকা বানানো যায় এবং টুপি পরানো যায়। তার ঘনিষ্ঠ একের পর এক নেতা, মন্ত্রীরা জেলে যাওয়ার পরেও তিনি আবার বড় বড় গলায় দাবি করেন, তার দল নাকি সৎ, তিনি নাকি সততার প্রতীক! আসলে লজ্জা না থাকলে যা হয়। বিরোধীরা বলছে, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে যাওয়ার পর সেখানকার সংগঠন নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে তৃণমূলের মধ্যে। কলকাতার আশেপাশে এই সমস্ত এলাকায় যদি বিজেপির একবার এন্ট্রি হয়ে যায়, তাহলে তৃণমূলের বারোটা বাজতে খুব বেশি দেরি লাগবে না। তাই সেটা বুঝতে পেরেই এখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও, তার এলাকায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করে আবার উন্নয়নের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু এসব করে কি লাভ করতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস? এক্ষেত্রে জুতসই জবাব পাওয়া যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে। তাই সাংবাদিকরা তাকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি একেবারে এমন এক কথা বললেন, যা শুনে হাসি চেপে রাখতে পারছেন না তৃণমূলের কর্মীরাও।

প্রসঙ্গত, এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিজের এলাকায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বিষয় নিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। এদিন সেই প্রশ্নের উত্তরে এক বাক্যে বলেন, “এটা একটা অশ্বডিম্ব। কিচ্ছু হবে না। সব স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হবে। আর ওখানে বলা হবে, এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ।” অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। কিন্তু তিনি নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের পালসকে এখনও কেন বুঝতে পারছেন না? নাকি ক্ষমতার নেশায় এতটাই ডুবে রয়েছেন যে, মানুষ কি ভাবছে, সেটা তার ভাবনার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া তিনি যদি ভাবেন যে, সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছেন, তাদের এলাকায় গিয়ে তিনি উন্নয়নের বার্তা দেবেন, আর মানুষ খুব সহজেই সেই টোপ গিলে নেবে, তাহলে তো এটা চরম মুর্খামি ছাড়া আর কিছু নয়।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা ভোটে একটা ভালো ফলাফল করার জন্য এখন শেষ চেষ্টা করছেন। শেষ মুহূর্তে তিনি মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপনের একটা মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন। কিন্তু মানুষের অনুভূতি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা প্রমাণ করছে যে, তারা কিন্তু বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এই বাংলার বুকে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে যে, তারা মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। যেটা বিগত বাম সরকারের আমলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে মানুষের মনে একটা ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে চোর, জোচ্চোর, গুন্ডা, ডাকাতদের দিয়ে গোটা দলকে ভরিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মনে সেই ভাবনাকে দুমড়ে-মুচড়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাই প্রশাসনিক বৈঠক করুন, আর সেখানে গিয়ে আলফাল কবিতা শোনান, লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ হয়ত তার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশের ভয়ের জন্য যাবে। কিন্তু ভোটের বাক্সে ভোটটা পড়বে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!