প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূল আজ থেকে ভাবনা চিন্তা করছেনা, তাঁদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য প্রতিবেশী রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেখানে তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে। এমনকি মুকুল রায়ের তৎপরতায় ত্রিপুরায় তৃণমূলের 6 জন বিধায়ক ছিলেন। তবে মুকুল রায় যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান, যথারীতি তৃণমূলের সংগঠনে ধ্বস নামে। কিন্তু মুকুল আবার ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় তৃণমূল সংগঠন আবার তৈরি হতে শুরু করেছে। 2023 এ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বাংলার মত ম্যাজিক দেখানোর লক্ষ্যে তৃণমূল।

গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরার মাটিতে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। কার্যত আইপ্যাক টিমের 23 জন মেম্বারকে নজরবন্দি করে রেখেছে আগরতলা পুলিশ। তাঁদেরকে ছাড়ানোর জন্য গতকালই ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের অন্যতম দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে ত্রিপুরা যাচ্ছেন ডেরেক ও ব্রায়ান এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল নেতাদের আগমনে চাঞ্চল্য বাড়ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বো। বাংলার মতো হাল যাতে ত্রিপুরায় না হয় তার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির।

ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কার্যত শোনা যাচ্ছে, সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সুদীপ রায় বর্মন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ অন্যতম নেতা বলেও জানা যায়। এদিকে শোনা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় যেতে চলেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় সুদীপ রায় বর্মন কি করবেন তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। রাজনীতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি. এল সন্তোষ ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কার্যত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মনের সংঘাত সর্বজনবিদিত।

শোনা যাচ্ছে অন্তত 14 জন বিধায়ককে নিয়ে সুদীপ রায় বর্মন বিজেপি ছাড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁর গন্তব্য যে তৃণমূল হবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। অন্যদিকে বিপ্লব দেব মন্ত্রীসভার অন্দরেও অশান্তির খবর সামনে আসছে। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় গেরুয়া শিবির যখন চাপের মুখে ঠিক সেসময় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরায় বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই চাপ দ্বিগুণ করতে এবার মাঠে নেমে পড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যত সময় যাচ্ছে, ততই ত্রিপুরার রাজনীতিতে বাড়ছে চাঞ্চল্য। কার্যত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা ত্রিপুরায় যাওয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন নজরে রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।