পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট নিয়ে বিজেপি-বামফ্রন্ট একযোগে রাজ্য সরকারকে তীব্র চাপে ফেলতে চলেছে রাজ্য April 1, 2018 পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট নিয়ে এবার একযোগে রাজ্য সরকারকে তীব্র চাপে ফেলতে চলেছে বিজেপি-বামফ্রন্ট। পরিস্থিতি অন্তত তাই বলছে। শনিবার মুখ্যনির্বাচন কমিশন রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সূচী প্রকাশ করলো। জানা গেলো আগামী ১, ৩ ও ৫ মে রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ১লা মে নির্ধারিত নির্বাচনকে ঘিরে বাম শিবির কার্যতই হতবাক কারণ ঐদিন আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। আর একে হাতিয়ার করে সরকার বিরোধী মনোভাব গড়ে মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে সিপিআইএ। এই প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর বললেন, ”আন্তর্জাতিক ভাবে যে দিনটি পালন করেন শ্রমজীবী মানুষেরা, সেই দিন ভোটগ্রহণের তারিখ ফেলার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হল, এরা কতটা শ্রমিক-কৃষক বিরোধী।এর জবাব মানুষ দেবেই।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের সম্ভবনা আছে এই খবরে যখন রাজনৈতিক মহল তোলপাড় তখন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুমকির সুরে বলেছিলেন,”মে মাসের প্রথম দিকে ভোট করার ঘোষণা হলেই বিজেপি আদালতের দারস্থ হবে।” আর এদিন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে দিলীপ বাবু তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, ”১৪ এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে। তার পরে পঞ্চায়েতের প্রচারের জন্য এক মাসেরও কম সময় পাওয়া যাবে। কারণ পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ। বিজেপি আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে।” আর বিজেপি এই প্রসঙ্গটাকেই হাতিয়ার করে ভোটার প্রচার সারতে লেগেছে।পিছিয়ে নেই কংগ্রেস ও। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তীও অভিযোগ করে বললেন,”শাসক দল বিরোধীদের পরাস্ত করতে এই ধরনের কৌশল নিচ্ছে।” অবশ্য তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদের সব অভিযোগ নসাৎ করে বললেন, “আমরা আছি মানুষের দরবারে, আর ওরা আছে আদালত-কমিশনে।” আপনার মতামত জানান -