পেগাসাস থেকে পাপড়িচাট, একাধিক ইস্যুতে নাম না করে তৃণমূলকে একহাত প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি August 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক একদিন আগে দা ওয়ার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবির। বারবার পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। তবে, কেন্দ্র সরকার এই দাবি মেনে নেয়নি। এর প্রতিবাদে বাদল অধিবেশন শুরু হবার পর থেকেই বারবার সংসদ অচল করে দিচ্ছেন তৃণমূল সহ বিরোধীরা। এবার নাম না করেও বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাদল প্রতিবেদনে আইটি মন্ত্রী অস্বীনি বৈষ্ণর ভাষণ চলাকালীন তাঁর হাত থেকে ভাষণের কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিড়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিপূর্বে বলেছেন যে, দুই কক্ষেই সংসদকে অপমান করেছেন বিরোধীরা। যে ব্যক্তি কাগজ ছিড়ে ফেলেছিলেন, তাঁর মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। সংসদে যখন পেগাসাস সহ একাধিক ইস্যুতে প্রবল চাপানউতোর চলছে। সেই পরিস্থিতিতে গতকাল একটি টুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যে টুইটটিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অধিবেশনের প্রথম দশদিন তাড়াহুড়ো করে ১২ টি বিল পাস করিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছেন, এক-একটি বিল পাস করতে সময় লেগেছে সাত মিনিট। তিনি কটাক্ষ করেছেন, এটা আইন পাস করা হচ্ছে, নাকি পাপরি চাট বানানো হচ্ছে? এই বক্তব্যর আজ কঠোর জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোও নাম না করে তিনি জানালেন, একজন সিনিয়র সংসদের পক্ষে এই ধরনের মন্তব্য করা জনগণকে অপমান করা। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রল্হাদ জোশি জানিয়েছেন যে, সমস্ত বিল নিয়ে তাঁরা আলোচনা করতে চান। কোন কিছু নিয়েই তাঁরা তাড়াহুড়ো করতে চান না। জনৈক তৃনমূল সদস্য সংসদকে অপমান করেছেন। দেশের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে দাবি করেছেন তিনি। পেগাসাস ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী শিবির। এর তদন্তের জন্য রাজ্যে একটি তদন্ত কমিশন পর্যন্ত গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে নিজের ফোনে লিউকোপ্লাস্ট ব্যবহার করেছেন তিনি। তবে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি সর্বদা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়টি সংসদে আলোচনার বিষয় হতে পারে না। আপনার মতামত জানান -