পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ ‘হেলমেট বাহিনীর’ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন শাসকদলের অন্দরেই রাজ্য April 10, 2018 শনিবারে আরামবাগে মহকুমাশাসকের দফতর থেকে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যাওয়ার সময়ে বামফ্রন্টের শাখা ফরওয়ার্ড ব্লকের মহিলা প্রার্থীদের প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় দুষ্কৃতিবাহিনী ঘিরে ধরে চুলের মুঠি ধরে চরম শারীরিক নিগ্রহ করলো। সোস্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ভিডিও তড়িঘড়ি ছড়িয়ে পড়লো। একই ঘটনার ফলে শাসকদলের বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে একতার অভাব দেখা যাচ্ছে। তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করছেন। এমনকি এটাও দেখা যাচ্ছে যে কোনো কোনো সময় তাদের মধ্যে অনুশোচনাও দানা বাঁধছে। আরামবাগে যাঁদের গায়ে-মুখে কালি লেপা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক ও তাঁর স্ত্রী। অতীতে বাম রাজত্বে তাদের এমন হেনস্থার মুখোমুখি হয়ে হয়নি দাবি করেছেন আক্রান্ত বিশ্বনাথ বাবু। রবিবার আরামবাগের এসডিপিও-র কাছে গিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলে এসেছেন,”এর পরে গ্রামে, বাড়িতে হামলা হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ছেলেটাকে আপনাদের কাছে দিয়ে যাব। আর আমি গায়ে আগুন দিয়ে মরব!” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষুদ্ধ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সাধারণ জিজ্ঞাস্য, ”মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য জুড়ে নারী দিবস পালন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দলের দুষ্কৃতীদের হাতে মহিলাদের এই আক্রান্ত হওয়ার ছবি কি তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ?” এই ঘটনার প্রতিবাদে ফব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা আক্রান্তদের নিয়ে এসে অবস্থানে বসবেন। এই বিষয়ে শাসকদলের নেতা নেত্রীরা নানা প্রতিক্রিয়া জানালেন। যেমন তৃণমূলের এক সাংসদের বক্তব্য, ”বিরোধীদের এই সুযোগ তো করে দেওয়া হচ্ছে।”। বাঁকুড়ার এক ব্লক সভাপতির প্রশ্ন, ”সব আসনে অবাধ লড়াই হলেও বিরোধীরা বড় জোর একটা-দুটোয় সুবিধা করতে পারবে। এই হেলমেট বাহিনীর কী দরকার!” শাসক দলের এক নেতা তথা প্রাক্তন আমলার বললেন, “হিংসা রুখতে প্রকাশ্যে বার্তা দেওয়া উচিত ছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। সিপিএমের আমলে হিংসার ঘটনায় অনেক সময়েই জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে কৌশল নিতেন। অথচ এখন চন্দ্রবাবু নায়ডুর বৈঠক থেকে ডেভিস কাপ পর্যন্ত অন্য নানা বিষয়ে টুইট করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে রোজ বিরোধীদেরই কটাক্ষ করা হচ্ছে!” এমত অবস্থায় শাসকদলের একটি অংশ মনে করছে রাজ্যে দলীয় মদতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বন্ধ করতে না পারলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় বর্তাবে প্রশাসনের ওপর।যা কী না সম্পূর্ণভাবে সত্যি নয়। আপনার মতামত জানান -