রাজ্যপালের সাসপেন্স চিঠিতে চরম সমস্যায় মমতা, বেড়িয়ে এলো আসল রহস্য! মুখ পুড়লো নবান্নের! কলকাতা রাজ্য September 10, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– উপাচার্য নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করার পরেই পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যপাল। মধ্যরাতে নবান্ন এবং দিল্লিতে দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। যে চিঠির রহস্য এখনও পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি। সেই চিঠিতে কি রয়েছে, তা নিয়ে ক্রমাগত জল্পনা চলছে। আশ্চর্যের বিষয়, এখনও পর্যন্ত সেই চিঠি প্রকাশ করার মতো ক্ষমতা হলো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যপালের পাঠানো সেই চিঠিতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার! আর সেই প্রশ্নের জোর অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের তরফে চিঠি পাঠানোর পর প্রায় ১৯ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সকলের কাছে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে যে, সেই চিঠিতে ঠিক কি রয়েছে! রাজভবন হয়তো গোপনীয়তার জন্য তা প্রকাশ করেনি। নবান্ন এবং দিল্লীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নবান্ন কেন এখনও পর্যন্ত তা প্রকাশ করল না? তাহলে কি রাজভবনের পক্ষ থেকে তাদের বারণ করা রয়েছে! নাকি এমন কোনো বিষয় সেই চিঠিতে রয়েছে যেটা প্রকাশ করলে মুখ পুড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, যদি চিঠিতে ভালো কিছু থাকত, তাহলে এতক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পেটোয়া চ্যানেলগুলোকে দিয়ে তার প্রচার করাতেন। কিন্তু নিশ্চয়ই চিঠিতে এমন কিছু রয়েছে, যাতে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি হবে, তাই তা প্রকাশ করা হয়নি। একাংশ বলছেন, বিরোধী দলনেতার এই যুক্তি একশো শতাংশ ঠিক। কারণ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার সব দিক থেকেই প্রচার সর্বস্ব। রাজ্যপাল চিঠিতে ভালো কথা বলবেন, আর তা প্রকাশ করবে না নবান্ন, এমনটা হতে পারে না। ফলে উপাচার্য নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতের পর রাজভবনের তরফে চিঠি যে রাজ্যকেই অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, যেভাবে রাজ্যপালকে লাগাতার আক্রমণ এবং অপমান করেছে রাজ্য সরকার, তার ফল কখনও ভালো হতে পারে না। রাজ্যপাল সব কিছু সহ্য করে নিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষমেষ তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, মধ্যরাতেই অ্যাকশান দেখতে পাবেন। সেই মত মধ্যরাতের আগেই তিনি দুটি চিঠি নবান্ন এবং দিল্লিকে পাঠিয়েছেন। কেউ বলছেন, শিক্ষা নিয়েই এই চিঠি। আবার কেউ বা বলছেন, আইনশৃঙ্খলার যে সমস্যা রয়েছে, তার যাবতীয় বিষয় নিয়েই এই চিঠি দিয়েছে রাজভবন। পর্যবেক্ষকদের মতে, চিঠির ভেতরে থাকা আসল বিষয়টি কখন প্রকাশ্যে আসবে, তার দিকে সকলের নজর রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যও কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সদ্য জন্মানো সিংহ শাবকের খাঁচার বাইরে লেখা থাকে। দেখা যায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়” শব্দটি। ফলে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের তরফে প্রশংসা সুলভ চিঠি পাবেন, আর তা প্রকাশ করবেন না, এমনটা হতে পারে না। তবে এখন তৃণমূলের ছোট, বড় নেতারা বলতেই পারেন যে, শুভেন্দু অধিকারী সব খবর জানেন কি করে! তিনি কি রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা নাকি? তাহলে তৃণমূল নেতারা স্পষ্ট করুক, তাদের নেত্রীকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে বলুক, এসে প্রমাণ করতে বলুক যে, রাজ্যপাল যে চিঠি দিয়েছেন, তার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের কোনো মিল নেই। রাজ্যপাল তাদের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু কেন এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের কোনো মন্ত্রী বা কোনো সরকারি আধিকারিক এই রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে একটি বাক্যও প্রয়োগ করলেন না? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল। আপনার মতামত জানান -