বদলার রাজনীতি শুরু তৃনমূলের? কিন্তু শুভেন্দু স্রোতকে রুখবে কে! তৃনমূলকে মোক্ষম জবাব বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 4, 2023October 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর যে চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল করেন, তা সকলেই দেখেছেন। এটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতারা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সভা করতে পেরেছেন। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই এবার বাংলায় বিজেপিকে সেভাবেই জবাব দেওয়া হবে। অর্থাৎ এককথায় তৃণমূল নেতারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলায় আবার তারা বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাবেন। তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। কিন্তু তৃণমূল যদি ভেবে থাকে যে, বিরোধী শক্তিকে একদম শেষ করে দেবে, বদলার রাজনীতি করে গোটা রাজ্যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে তৃণমূলকে সেই ব্যাপারে কার্যত শুধরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে রাতেই বিমানে কলকাতা ফিরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তাকে তৃণমূল নেতাদের একের পর এক বদলার ইঙ্গিত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দেন, অত্যাচার তো অনেক হয়েছে এবং ক্রমাগত হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও তো বিজেপিকে আটকানো যায়নি। তাই এবারেও যদি সেরকম কোনো অত্যাচার হয়, তাহলে বিজেপি সর্বতভাবে তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। যা দেখে বিরোধীরা তৃণমূলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ছে, বদলার রাজনীতি তো অনেক হলো। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর স্রোতকে কি এভাবে আটকানোর ক্ষমতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের? এখন হয়তো গুন্ডা দিয়ে, পুলিশ দিয়ে আবার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চলবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীও যে সেই বিরোধী শক্তিকে আগলে রাখার মতো সমস্ত রকম পদ্ধতি অবলম্বন করবেন, তা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট বলেই দাবি একাংশের। বিরোধীদের দাবি, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী যে হিংসা রাজ্যে হয়েছে, তা ভয়াবহ। বেছে বেছে বিরোধী নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে এখনও পর্যন্ত ঘরে ফিরে আসতে পারেননি। তারপরেও এই তৃণমূল সরকারের লজ্জা হয় না। দিল্লিতে তারা সুষ্ঠুভাবে সভা করতে পেরেছে। অসভ্যতা করেছে বলে তাদেরকে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল বাংলায় এখন বদলা নেওয়ার কথা বলছে। সত্যি, এরা কখনই শুধরোবে না। দিল্লী পুলিশের নিরপেক্ষতা দেখে অন্তত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। এমনকি তৃণমূল নেতারাও নিজেদের সভ্য ভাবমূর্তি সামনে আনবেন, এমনটা ভাবতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তাদের সেই ভাবনা ভুল। এরা জীবনে শুধরাবে না। আবার হয়তো সন্ত্রাসের লীলা খেলা চলবে বাংলায়। তবে তৃণমূল যদি ভাবে যে, তারা একাই খেলা চালাবে, আর তাকে আটকানোর মতো শক্তি বিরোধীদের নেই, তাহলে তারা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পাল্টা ব্যাটিং করতে জানেন। তাই তৃণমূলও যেন তার জন্য প্রস্তুত থাকে বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির। পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লির মাটিতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা গিয়ে সভা করলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কতই না কথা বললেন। কিন্তু তারপরেও একটি পুলিশও কিন্তু তাদের সেই সভাস্থল ভেঙে দেয়নি। সেখানে গিয়ে লাঠি সোটা চালায়নি। কিন্তু বাংলায় এ জিনিস প্রতিনিয়ত হতে দেখা যায়। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে হুজ্জুতি করার কারণে তাদের কিছু সময়ের জন্য আটক করা হয়েছিল। আর তাতেই বাংলার তৃণমূল নেতারা বদলার কথা বলছেন? এমনই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। কারণ তিনি এই শক্তির সঙ্গে লড়াই করেই চলেছেন। তাই আবার যদি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বদলার রাজনীতি বাংলায় প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তাকে আটকানোর জন্য যা করতে হয়, তা করবেন বিরোধী দলনেতা। আর যাই হোক, তিনি তৃণমূলের এই অত্যাচার মেনে নেবেন না। যদি বদলার রাজনীতি হয়, তাহলে প্রতিরোধের রাজনীতিও যে বিজেপি করবে, তা স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তেমনটাই ইঙ্গিত পেলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -