তৃনমূলের এ কোন আন্দোলন! শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালকেও অমান্যের পথে যুবরাজ? সোচ্চার বিজেপি! কলকাতা জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনীতি করতে করতে কোথায় গিয়ে থামতে হয়, সেটাও হয়তো ভুলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। আর একটি দল ক্ষমতায় থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবার নাকি সেই পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনের উদ্দেশ্যেই নিজেদের আন্দোলন পৌঁছে দেবে! সত্যিই, এটা তৃণমূল বলেই সম্ভব। একজন সাংবিধানিক প্রধান, তার দরজায় গিয়ে কি কোনো শাসক দল এই ধরনের আন্দোলন করতে পারে? সেটা কি সেই সাংবিধানিক প্রধান এবং রাজ্যপালকে অমান্য করা নয়? আইন, সংবিধান সবকিছুকেই কি এইভাবে নষ্ট করার পথে এগোতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা? বাংলার যুবরাজের দিল্লির মাটি থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণার পর এই প্রশ্নই তুলছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অভিযোগ যে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। তারপর তাদের আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েই নাকে কান্না শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। বাইরে বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় বড় গলায় দাবি করেছেন যে, আগামী 5 অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটের সময় 1 লক্ষ লোক নিয়ে তারা রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হচ্ছেন রাজ্যপাল। তাই তার কাছে বাংলার যে বঞ্চনা হচ্ছে, এই 50 লক্ষ চিঠি তার টেবিলে জমা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকে বলছেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল নিজের মত করে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু এটা কি সত্যিই গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ! নাকি সাংবিধানিক প্রধানের ওপর চাপ সৃষ্টি? বিরোধীদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত ভুলে গিয়েছেন যে, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি নন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। সংবিধানকে রক্ষা করতেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েয়েছেন। তাই তার কাছে গিয়ে এই চিঠি জমা দেওয়া এবং লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে রাজভবনকে অবরুদ্ধ করার যে ডাক বাংলার যুবরাজ দিলেন, তা তৃণমূলের পক্ষেই বড় বিপদের কারণ বলেই দাবি বিরোধীদের। তারা আরও বলছেন, রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে একটি শাসক দল কি এই ধরনের কাজ করতে পারে? যদি রাজভবনে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে রাজ্যপাল যদি কড়া পদক্ষেপ নেন, তখন কি করবেন এই তৃণমূল নেতারা? রাজ্যপাল যদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলে দেন যে, রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপদজনক। তিনিই সুরক্ষিত নন। তখন ভাইপোর এই রাজভবন চলো অভিযানে বড়সড়ো বিপদে পড়বেন পিসিমণি। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধী শিবির। পর্যক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এমনিতেই আইনের শাসন নেই। কিন্তু অন্তত রাজভবনটাকে এর বাইরে রাখা হয়েছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে সংঘাত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তা তো ভয়াবহ। কিন্তু তার মধ্যেই দিল্লির মাটি থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরে যেভাবে সেই রাজভবন চলোর ডাক দিলেন বাংলার যুবরাজ, তাতে সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, এবার কি সব কিছু ভুলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দপ্তরকেও অমান্য করার রাস্তায় হাঁটবেন তৃণমূল নেতারা? রাজনীতি করতে গিয়ে তারা আর কত নিচে নামবেন? বোধ, বুদ্ধি সবকিছুই কি লোপ পেতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের? দিনের শেষে তেমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক সমালোচকদের। আপনার মতামত জানান -