এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মন্ত্রী নাকি পালিয়ে গেছে! আজব দাবি যুবরাজের! বিরোধী কটাক্ষে জেরবার তৃণমূল!

মন্ত্রী নাকি পালিয়ে গেছে! আজব দাবি যুবরাজের! বিরোধী কটাক্ষে জেরবার তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একশো দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে ধর্ণা করার পর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যে প্রতিনিধি ছিলেন 40 জন ব্যক্তি। আর একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে এত ব্যক্তির প্রয়োজন কিসের? সেই যৌক্তিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তবে তৃণমূল অবশ্য নাছোড়বান্দা। তাদের দাবি, একশো দিনের কাজের 8 জন উপভোক্তা প্রতিনিধি দলে রয়েছে। তাদের সঙ্গেও মন্ত্রীকে দেখা করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু সেখানেও জেদাজেদি করে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বদনাম করতে আসরে নেমে পড়লেন তৃণমূলের যুবরাজ। যা নিয়েই এবার কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরে অসভ্যতা করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ যে কয়েকজন সেখানে ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তারপর সাংবাদিকদের সামনে অনেক বড় বড় কথা বলতে দেখা যায় বাংলার যুবরাজকে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপভোক্তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন”।  আর এখানেই অভিষেকবাবুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, তবুও তো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু বাংলায় ন্যায্য দাবি নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিরোধীদের কোনো সরকারি দপ্তরে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না। তারা আবার দিল্লিতে এসে এত বড় বড় কথা বলেন কি করে?

বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যে করেই হোক, টালবাহানা করে তিনি যাতে দেখা না করেন এবং তৃণমূল যাতে এই ধরনের সিনসিনারি করে মিডিয়া হাইপ তুলতে পারে, তার চেষ্টা করেছে। কারণ দেখা হলে তো তাদেরকে বাংলার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জবাব দিতে হবে। তখন তো তৃণমূলের আসল পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে। তার থেকে এমন একটা বিষয় নিয়ে জেদাজেদি করা ভালো, যাতে সাপ মরবে, কিন্তু লাঠি ভাঙবে না। তাই শেষ পর্যন্ত উপভোক্তাদের সঙ্গে দেখা করতেই হবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওপর অন্যায্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তৃণমূল নেতারা এই বিষয়টিকে সামনে এনে এখন মিডিয়ার প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি সামান্য লজ্জা বোধ থাকত, তাহলে এই তৃণমূল নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এত বড় বড় কথা বলতে পারতেন না। বাংলায় তারা পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করেন, তার শিকিভাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ ব্যবহৃত হয় না। যদি তাই হত, তাহলে তারা দিল্লির মাটিতে সভা করার মত অনুমতি পেতেন না। তাদেরকে সভা করতে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করার কথাও বলেছেন। কিন্তু সেখানেও অসভ্যতা করে এমন একটা পরিস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেস সৃষ্টি করতে চেয়েছে, যাতে দেখা না হয়, আর তারা বাইরে আন্দোলন করে বোঝাতে চায় যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। কিন্তু এসব চালাকি কিছুদিন মানুষ গ্রহণ করে না। একটা সময় সেই সব বুজরুকির পর্দাফাঁস হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হলো। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!