এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সবটাই কি পিসির রাজত্ব? দিল্লিতে ওসব মগের মুল্লুক চলবে না! ভাইপোকে কড়া জবাব বিজেপির!

সবটাই কি পিসির রাজত্ব? দিল্লিতে ওসব মগের মুল্লুক চলবে না! ভাইপোকে কড়া জবাব বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় পুলিশকে ব্যবহার করতে করতে অভ্যাস একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের। বিরোধী রাজনীতি করা তো তাদের স্বভাবে নেই। তাই বাংলার যুবরাজ দিল্লিতে গিয়ে ভেবেছেন, পুলিশ তার কন্ট্রোলে। তাই তিনি যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আর দিল্লী পুলিশ এক নয়, এটা ভুলে গিয়েছিলেন যুবরাজ। যার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে অসভ্যতা করার পর তাকে আটক হতে হয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর এসবের পরেই নাকে কান্না শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারা বলছেন যে, দিল্লী পুলিশ অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে তাদের সাথে। হায় রে, যারা পশ্চিমবঙ্গে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী নেতাদের বাড়ি থেকে তুলে আনতে দুবার ভাবে না, তাদের মুখ থেকে এই কথা শুনে রীতিমত হতবাক সমালোচক মহল। আর এসবের মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা একেবারে তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়ার মত। গেরুয়া শিবির অবশ্য তেমনটাই বলছে।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতি নাকি অগণতান্ত্রিক আচরণ করা হয়েছে পুলিশ দিয়ে‌। এই অভিযোগ করছেন তৃণমূলের নেতারা। অনেকে বলছেন, যেদিন থেকে ভাইপো রাজনীতি শুরু করেছেন, সেদিন থেকে তিনি পুলিশকে ব্যবহার করেই রাজনীতি করছেন। তাই তিনি বিরোধী রাজনীতির মর্ম বুঝবেন কি করে? তার তো এসব সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা নেই। তাই পুলিশ তাকে আটক করতেই তিনি কার্যত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছেন বলেই দাবি বিরোধীদের। তবে সবটাই কলকাতা এবং তার নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ডহারবার নয় যে, যা ইচ্ছে তাই করা যাবে! এবার তৃণমূলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তেমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একদম সঠিক জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। বাংলায় পুলিশকে ব্যবহার করে তৃণমূল গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে। বিরোধীদের সামান্য সভা করতে দেয় না। কিন্তু দিল্লী পুলিশ তো তাও দিয়েছে। তারপর নাটক করে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতারা। যাদের বিরোধী রাজনীতি করার অভ্যাস নেই, তারা তো এই ধরনের নাকে কান্না কাঁদবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে রাজনীতিতে একজন নেতাকে সবকিছু পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয়। ভাইপোকে বুঝতে হবে যে, তার দল একটা আঞ্চলিক দল। তার পিসি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তার বাইরে তাদের কোনো প্রভাব, প্রতিপত্তি নেই। তাই বাইরের রাজ্যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মতো আচার-আচরণ করলে পুলিশ সবটা সহ্য করে নেবে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সেটাই দিল্লিতে হয়েছে, তাই তৃণমূল নেতাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এটুকুতেই তৃণমূলের নেতাদের এই অবস্থা? তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর এই তৃণমূলের নেতারা পুলিশ দিয়ে যে নিপীড়ন করেন, সেটা হলে তারা কোথায় যেতেন? তৃণমূলের বোঝা উচিত ছিল, সবটাই মগের মুলুক নয়। সবখানে শাসকের আইন চলে না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এই নিয়ম পালন হয়। বাকি দেশের সব রাজ্যেই চলে, আইনের শাসন। তাই সেই আইনের শাসন রক্ষা করার জন্য পুলিশ যা পদক্ষেপ নেওয়ার তাই নিয়েছে। এতে যুবরাজ যতই নাকে কান্না কাঁদুন, তাতে কারওর কিছুই এসে যায় না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!