এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ! অপমানে আত্মঘাতী দিদি! তীব্র চাঞ্চল্য বাংলার বুকে!

দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ! অপমানে আত্মঘাতী দিদি! তীব্র চাঞ্চল্য বাংলার বুকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মেয়েরা যে কোনো জায়গাতেই নিরাপদ নয়, সে যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক না কেন-সম্প্রতি একটি ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এ যুগের মেয়েরা এখনো ভোগ্যপণ্য হিসেবেই বিচার্য হয়, সে গরিবই হউক আর বড়লোকই হোক। মেয়েরা যতই উন্নতি করুক বা যতই কর্মক্ষম হোক অবস্থা সেই একই জায়গাতেই রয়ে গেছে। নাবালক হওয়া সত্বেও জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জে শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গণধর্ষণের শিকার হতে হল সম্প্রতি দুই বোনকে।

দুই নাবালিক বোন বাড়ি থেকে বের হয় দোকান যাবার জন্য। পথেই তাদের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা এবং তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। এরপর জানা গেছে, দুজনেই আত্মহত্যা করার জন্য কীটনাশক খায়। এই অবস্থায় তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে ছোট বোন বেঁচে গেলেও বড় বোন সোমবার মারা যায়। ছোটবোনের অবস্থার উন্নতির পর সে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়। এই পুরো বিবরণ ভিডিও করে রাখা হয় পরিবারের তরফ থেকে এবং থানায় গ্রামের পাঁচ যুবক এবং এক কিশোরের নামে অভিযোগ করা হয়।

পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নাবালক সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পসকো সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করেছে। বাকি দুজন অভিযুক্ত এখনও নিখোঁজ বলে জানা গেছে। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মন্ডল জানিয়েছেন, নিখোঁজ অভিযুক্তরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে। অন্যদিকে পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুটি নাবালিকা মেয়ে অত্যন্ত অভাবী পরিবারের। অভাবের কারণে তাঁদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে তাঁদের পথ আটকায় গ্রামেরই কয়েকজন ও দুটি ছোট মেয়েকে গণধর্ষণ করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযুক্তরা সকলেই দিনমজুরের কাজ করে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় শুয়ে থাকা ছোটবোন যখন পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়, তখন সেখান থেকেই অভিযুক্তদের নাম উঠে আসে। অন্যদিকে মেয়ে দুটি বাড়ি ফিরেও কীটনাশক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও পরিবারের বা পড়শীদের পক্ষ থেকে কেউই কিছু জানতে পারেনি। অনেকেই দাবি করেছেন, লজ্জার কারণেই তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল।

লজ্জাজনক এই ঘটনাটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ধিক্কার শুরু হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরো একবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই চাইছে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি। অন্যদিকে পুলিশও এখন দুই ফেরার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!