এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ভাইপোকে নাকি সময়ই দেওয়া হয়নি? ঘাসফুলের ন্যাকামি ধরে ফেললো বিজেপি!

ভাইপোকে নাকি সময়ই দেওয়া হয়নি? ঘাসফুলের ন্যাকামি ধরে ফেললো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রায় 40 জন সেখানে ছিলেন। আর একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এত জন কিভাবে দেখা করতে পারেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যাই হোক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করার কথা বললেও বেশ কিছু লিমিটেড সংখ্যা তিনি বেঁধে দিয়েছিলেন। আর তাতে রাজি হননি তৃণমূলের নেতারা বলে অভিযোগ। যার কারণে শেষ পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ করে তাদের আটক হতে হয়েছে। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলের এই প্রশ্নের আদৌ কতটা যৌক্তিকতা রয়েছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের পাঁচ জনকে দেখা করার সুযোগ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দপ্তর তো হাট বা বাজার নয় যে, যেখানে যারা ইচ্ছে করবে, সবাই ঢুকে যাবে!

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূল দিল্লিতে যে ধর্না দিয়েছে, তাতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করা হয়নি। বরঞ্চ দিল্লী পুলিশ যে স্বাধীনতা তৃণমূলকে দিয়েছে, তা দেখে বাংলার প্রশাসনের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। যদিও বা তৃণমূল বলছে যে, দিল্লী পুলিশ তো বিজেপির জমিদারি নয় যে, তারা তাদের মত করে পুলিশকে চালাবে! একদমই ঠিক। তৃণমূলে এই কথা একদম সত্যিই বলেছে। সেই জন্যেই তো আজকে দিল্লী পুলিশের মেরুদন্ড রয়েছে। কিন্তু বাংলায় যেভাবে তারা পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের সভা বানচাল করে, দিল্লির পরিস্থিতি দেখে কি তা থেকে শিক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল? তা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে একটা বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরে নাকি তৃণমূলের যুবরাজকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তাকে এবার ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী সঠিক কথাই বলেছেন। বাংলায় তো তৃণমূল সরকারের নেতা, মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিরোধীদের সেই দেখাটুকু পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। মন্ত্রীরা তো অনেক দূরের কথা, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও বিরোধী দলনেতা দেখা করতে পারেন না। এই তো পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একটা লিমিটেড সংখ্যা বেঁধে দিয়েছিলেন যে, কারা কারা দেখা করতে পারবে! কিন্তু তাতেও তৃণমূলের আপত্তি। তাই নিয়ে তারা সরকারি দপ্তরের মধ্যে স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আর এতসবের পরে তৃণমূলের নেতাদের আটক করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। তাই তৃণমূলের এই সমস্ত নাটুকে অভিযোগ বাংলার মানুষ বিশ্বাস করবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃনমূল খুব ভালোই নাটক করতে সিদ্ধহস্ত। শুভেন্দু অধিকারীর কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো দিল্লিতে তৃনমূলের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী তো পাচজনের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও রাজি না হয়ে তৃনমূল নেতাদের এই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কি মেনে নেওয়া যায়? যদি শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য মিথ্যেই হয়, তাহলে এবার তাকে চ্যালেঞ্জ করুক তৃনমূল! সেই মুরোদ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেতাদের আছে তো? দিনের শেষে এই সমস্ত প্রশ্ন তুলেই সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। যার সামনে পড়ে কার্যত ঢোক গিলতে বাধ্য হবেন বীরপুঙ্গব নেতারা বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!