এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুলিশ দেখে যার হাটু কাঁপে, সে নাকি দিল্লিতে এক লক্ষ লোকের সভা করবে! ভাইপোকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

পুলিশ দেখে যার হাটু কাঁপে, সে নাকি দিল্লিতে এক লক্ষ লোকের সভা করবে! ভাইপোকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে দুদিন ব্যাপী কর্মসূচি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেই কর্মসূচির একদম শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরে স্লোগান এবং অসভ্যতা করার কারণে তৃণমূল নেতা, সাংসদ এবং মন্ত্রীদের আটক করা হয়েছিল। আর তাতেই দম ফুরিয়ে গেছে বাংলার যুবরাজের। কার্যত তিনি পুলিশের পদক্ষেপ দেখে কিছুটা হলেও চুপসে গিয়েছেন বলেই দাবি বিরোধীদের। আর সেই যুবরাজ যন্তর মন্তরের সভা থেকে দাবি করেছেন যে, আগামী দুই মাসের মধ্যে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে 1 লাখ মানুষকে নিয়ে সভা করবে তৃণমূল! যে বিরোধী রাজনীতি জীবনে করেনি, যার আন্দোলনে কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই, যে পুলিশকে দেখেই ঘাবড়ে যায়, তার মুখ থেকে এই ধরনের কথা মানায় না বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

প্রসঙ্গত, এদিন যন্তর মন্তরের সভা থেকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই আন্দোলন এখানেই শেষ নয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে।” আর অভিষেক বাবুর এই বক্তব্যকেই এখন চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, ক্ষমতা থাকলে আবার দিল্লিতে গুনে গুনে এক লক্ষ মানুষের সভা করে দেখাক তৃনমূল! এরা নিজেদেরকে সর্বভারতীয় দল বলে দাবি করে। যদিও বা নির্বাচন কমিশনের খাতায় তারা আঞ্চলিক দল। কিন্তু বড় বড় দাবি করা সর্বভারতীয় নেতারা দিল্লিতে সভা করতে গেলে বাংলা থেকে লোক নিয়ে আসে। তাই তারা যে এক লক্ষ লোকের সমাবেশ করার কথা বলছে, তা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই দাবি একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে সুষ্ঠুভাবেই সভা করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। বাংলার বুকে এই জিনিস ভাবাটাও বিরোধীদের কাছে যেন বড় অপরাধ। কিন্তু দিল্লির প্রশাসন তা নয়। তারা অন্তত গণতন্ত্রটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। রাজনৈতিক শক্তি যদি থাকে, তাহলে অবশ্যই আগামী দিনে দিল্লিতে সভা করবে তৃণমূল। কিন্তু তাদের সেই মুরোদ থাকবে তো? যাদের দলের যুবরাজ পুলিশের রক্ত চক্ষু দেখে ঢোক গেলেন, যার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পাল্টে যায়, তাদের মুখ থেকে এত বড় বড় কথা মানায় না। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার বীরপুঙ্গব যুবরাজের মুখেই শুধু বড় বড় কথা। রাজনীতি করতে গেলে সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয় যুবরাজ সাহেব। আর আপনি যে দিল্লী পুলিশের কাছে যেভাবে বেসামাল হয়ে গেলেন, তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে। অনেকে যুবরাজকে কটাক্ষ করে বলছেন, আপনার জন্য অন্তত বিরোধী রাজনীতি নয়। ক্ষমতা পেয়ে পুলিশকে ব্যবহার করতে ভালই লাগে। কিন্তু বিরোধী দলে থেকে হিম্মত নিয়ে রাজনীতি করা অত্যন্ত চাপের বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই আগামী দিনে আবার দিল্লিতে এক লক্ষ লোকের সভা করার যে হুঁশিয়ারি যুবরাজের গলায় শোনা গিয়েছে, তা দেখে বিরোধীরা বলছেন, পুলিশ দেখে যার হাঁটু কাঁপে, তার মুখ থেকে এই ধরনের কথা মানায় না। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!