এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শুভেন্দু-গড়ে বড় ভাবনা – একই প্রশাসনিক ভবনে আসতে চলেছে দুই উন্নয়ণ সংস্থা

শুভেন্দু-গড়ে বড় ভাবনা – একই প্রশাসনিক ভবনে আসতে চলেছে দুই উন্নয়ণ সংস্থা


১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রশাসনিক ভবনের সব দপ্তরকে এক ছাতার তলায় আনতে চলেছে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ণ সংস্থা। উন্নয়ন সংস্থার নিজস্ব পাঁচ একরের বেশি জায়গা নিয়ে নিউ দীঘার যুব আবাসের কাছেই গড়ে উঠছে নয়া এই প্রশাসনিক ভবন। এই নিমার্নকার্য নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে প্রশাসনের। কোলকাতার একটি ঠিকাদার সংস্থাকে এই নির্মানকার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশালাকার জাহাজ আকৃতির এই নির্মান কার্যটি চলছে মূল রাস্তার পাশেই। ফলত স্বাভাবিকভাবেই দীঘাতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভবন তৈরির কাজটি। কেউ কেউ ভবনের চত্বর ঘুরে দেখছেন। অনেকেই ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলছেন।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্র দীঘা-শঙ্করপুরের উন্নয়নের জন্য রাজ্যসরকারের উদ্যোগেই ১৯৫৬ সালে ওল্ড দীঘায় তৈরি করা হয়েছিল উন্নয়ন সংস্থার অফিস। পরবর্তীকালে এই অফিসের কাজের পরিধি বাড়ে। অন্তর্ভুক্তি ঘরে তাজপুর,মন্দারমণি উন্নয়ণ সংস্থার। ওল্ড দীঘায় উন্নয়ন সংস্থার অফিসটি এখনো রয়েছে। তবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সময়ের সাথে সাথে রুগ্ন হওয়ার পাশাপাশি কাজের পরিধি বাড়ায় অফিসের যাওয়ারও অভাব দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা মেটাতেই এছাড়া প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য সমস্ত দপ্তরকে এক জায়গায় আনতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন ভবন। এতে কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পাবে,তেমনি অফিসের কর্মচারীদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

তবে জাহাজের আদলে কেন প্রশাসিনক ভবনটি তৈরি করা হচ্ছে ? এ প্রশ্নকে ঘিরে স্বাভাবিক কৌতূহল তৈরি হয়েছে আমজনতার মনে। দীঘার সমুদ্র সৈকত দেখতে প্রতিবছর বহু দর্শনার্থীরা ভীড় জমায়। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতেই জাহাজের আদলে তৈরি করা হচ্ছে প্রশাসনিক ভবনটি। এমনটাই জানালেন উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত। অর্থ এবং সময় বাঁচাতে এই নতুন ভবনের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক সাহা্য্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে ভবনটিকে। একটি প্রশাসনিক ভবন চালাতে প্রয়োজনীয় বসার জায়গা, মিটিং হল,পার্কিং ব্যবস্থা,ক্যান্টিং থেকে শুরু করে যাবতীয় দরকারী পরিষেবা থাকছে ভবনটিতে। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ভবনটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই নির্মান কার্যটি চালানো হচ্ছে জোরকদমে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!