এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্ত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বেপাত্তা! অচলাবস্থা নিয়ে ঘুম উড়ছে শাসকদলের

দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্ত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বেপাত্তা! অচলাবস্থা নিয়ে ঘুম উড়ছে শাসকদলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ তাদের দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল বনাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী। আর এবার দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে রীতিমত পাত্তাই পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূলের উপ-প্রধানের। যার জেরে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের হরিণখোলা 2 নম্বর পঞ্চায়েতের।

জানা গেছে, শুধু উপপ্রধান নয়, প্রধানও প্রতিদিন আসছেন না। আর এলাকা উত্তপ্ত থাকার কারণে অধিকাংশ সদস্যরা আসতে পারছেন না। ফলে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ঘনীভূত হতে শুরু করলে বৃহস্পতিবার 16 টি সংসদের মানুষ এই পঞ্চায়েত ঘেরাও করেন। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুর দিকে ঘোলতাজপুর গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমার আঘাতে মারা যান তৃণমূল কর্মী ইসমাইল খান। আর তারপরেই এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ কুতুবদ্দিন সহ দলের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় পঞ্চায়েতের অচলাবস্থা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অভিযোগ ওঠার পর পরেই কার্যত পঞ্চায়েত অফিসে আসা ভুলে যান উপপ্রধান।

শুধু তাই নয়, প্রধান এবং অন্যান্য সদস্যরাও অফিসে আসেন না। যার ফলে সঠিকভাবে পরিষেবা না পাওয়ার কারণে এলাকাবাসী রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। যার অঙ্গ হিসেবে এদিন 16 টি সংসদের গ্রামবাসীরা সঠিক পরিষেবা না পাওয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস চাপে পড়লে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের পক্ষে বাচ্চু মিত্র বলেন, “রাস্তা, পানীয় জলের কল সারাই ইত্যাদি পরিষেবা তো দূর অস্ত, পঞ্চায়েতের ন্যূনতম পরিষেবা অর্থ্যাৎ জন্মমৃত্যু সংক্রান্ত শংসাপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার গোলমালের অজুহাত তুলে প্রধান এবং সদস্যরা আসছেন না।” অন্যদিকে আরেক গ্রামবাসী মানিক মালিক বলেন, “পঞ্চায়েতের অচলাবস্থা কাটাতে ব্লক প্রশাসনের এতদিন কোনো হেলদোল ছিল না। স্থানীয় নেতারাও পঞ্চায়েত সচল করতে সরব হচ্ছেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সত্যিই তো তাই! এক্ষেত্রে যদি তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের কোনো জনপ্রতিনিধির নাম জড়িয়ে থাকে, তাহলে তার তদন্ত পুলিশ করবে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কেন পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন? তারা তো জনপ্রতিনিধি! কেন তারা পঞ্চায়েত অফিসে এসে সাধারণ মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দিতে সাহায্য করবেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী প্রতিহার বলেন, “পুরো বিষয়টা প্রশাসনের সমস্ত মহলে জানানো হয়েছে। দলও জানে , এলাকায় খুনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ডামাডোল আছে। তার ওপরে দলের একটা অংশ পঞ্চায়েতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। নিজেদের লোকদের কাজ দিতে হবে জানিয়েছেন। টেন্ডার ডাকায় বাধা দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে আমি মাঝেমধ্যে অফিসে গিয়ে খালি কিছু শংসাপত্রে সই করে আসি।”

আর এখানেই প্রশ্ন, যখন সরকারে তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে, যখন পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের, তখন কেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পঞ্চায়েত আফিসে যেতে পারবেন না? তাহলে কি এর পুরো দায় তৃণমুলকেই নিতে হবে? এখন সেই ব্যাপারে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, আসলে তৃণমূলের জন্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ভয় পাচ্ছেন। আর তার জন্য ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এইভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের ভোট দিয়ে নেতাদের জিতিয়ে এনে লাভ কি?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, “আগামী সোমবার সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। সমস্যার সমাধান করে কাজের মধ্যে ফেরাতে ব্লক থেকে একজন নোডাল অফিসার দেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে এখন দ্রুত পরিস্থিতির কবে সমাধান হয়, কবে জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েতে আসেন এবং সাধারণ মানুষ তাদের পরিষেবা পেতে শুরু করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!