প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার রাজনৈতিক মহলে চলছে রাজনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াইয়ের পারা চড়ছে। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন জিতে বিজেপি বিধানসভা দখল করার ব্যাপারে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী এবং বর্তমানে তা আরও জোরদার হয়েছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর তাই এবার তৃণমূল শিবিরকে প্রতিপদে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

সেইমতে এবার বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের শাসনকালের প্রতিটি ফাঁক নিয়ে আলোচনা করলেন এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নিউ ব্যারাকপুর দীনদয়াল উপাধ্যায় এর জন্ম দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি এবং সেখানেই তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এদিন তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএম এর পরে এসেছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের মানুষ অনেক আশা করে তাঁদের নিয়ে এসেছিল।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্যের বেকারত্ব মেটেনি, কোন বৃহৎ শিল্প সংস্থা তৈরি হয়নি, উপরন্তু আইন শৃঙ্খলার অবনতি দিনদিন হয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর মতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনীতি প্রবেশ করার পর থেকেই শিক্ষায় অরাজকতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে বিশেষ জায়গা পাওয়ায় তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

তাঁর মতে, নকশাল নেতাকে জেল থেকে বের করে পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার কাজে নিয়োগ করেছে শাসক দল। এ প্রসঙ্গে তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের মানুষকে স্বচ্ছ প্রশাসন দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, শিক্ষা, আইন শৃঙ্খলা, কর্মসংস্থান, মহিলাদের সম্মান সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে রাজ্যে দেখা যাবে। এবং তারপর তিনি রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ফিরছে 200 আসনের বেশী জয়লাভ করে।

বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করলে তবেই বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা হবে। অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এহেন মন্তব্যে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের শাসক দল কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও তৃনমূল আর বিজেপির মধ্যে যে একটি প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত বাংলার বুকে কে এগিয়ে থাকবে, সে কথা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েক মাস।