বিদ্রোহী শিবির থেকে মমতা ব্যানার্জিকে বের করে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় রাজ্য May 9, 2018 পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য পরিচালনার ব্যাপারে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘটনায় রীতিমতো চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থ কমিশনের নতুন সূত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে অংশ নিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পূর্ব নির্ধারিত চার বিজেপি বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অংশ গ্রহণ করার খবরে একপ্রকার শিউড়ে উঠেছে কেন্দ্র। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পরিচালনায় আগামী সোমবার অমরাবতীতে প্রতিবাদী অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আয়োজন করে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সেখানে যোগদানের কথা জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুয়ারী এই বিষয়টিকে সুষ্ঠভাবে পরিচর্চা করতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে জানা গিয়েছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে কলকাতা আসছেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো ১৯৭১ নয়, ২০১১ সালের আদমসুমারির ভিত্তিতে আর্থিক অনুদান বন্টন করা হবে। যার অর্থ জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়েছে যে সব রাজ্য তারা কম অর্থ পাবে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য, যারা জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে তারা বেশি অর্থ পাবে। এই বিষয় নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। এই বিষটির উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অল্প দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে চিঠি ও দিয়েছেন। এদিকে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির জোটব্ধতার খবরে হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ কমিশনের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তোষনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানালেন অর্থ কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও রাজ্যই বঞ্চিত হবে না। ১৯৭১ এবং ২০১১-এই দুই আদমসুমারি রিপোর্ট বিবেচনা করে দেখা হবে। যে সব রাজ্যের জনসংখ্যা বেশি তারা প্রয়োজন অনুসারে বেশি অর্থ পাবে। অন্যদিকে যেসব রাজ্য জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে, তাদেরও পুরষ্কৃত করা হবে। আপনার মতামত জানান -