এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ প্রকাশ্যে, নির্বাচনের আগে বাড়ছে জল্পনা!

আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ প্রকাশ্যে, নির্বাচনের আগে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে একা যে তাদের পক্ষে লড়াই করা সম্ভব নয়, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই করার কথা শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের গলায়। তবে শুধু বামেরা নয়, আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফের সঙ্গেও জোট করে লড়াই করতে পারে কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু আইএসএফের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের।

আর এই পরিস্থিতিতে ব্রিগেডের মঞ্চ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় আব্বাস সিদ্দিকীর প্রবেশ এবং তার ফলে মতানৈক্য কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তবে এবার আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। যার ফলে কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের প্রধানের সঙ্গে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই গণ্ডগোল প্রকাশ্যে চলে আসায় কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা কিভাবে মেটায়, তা প্রধান লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখনই এই ব্যাপারে একটি টুইট করেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা। যেখানে তিনি বলেন, “আইএসএফ বা ওই ধরনের কোনো দলের সঙ্গে জোট কংগ্রেসের মূল ভাবধারার বিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষতার যে আদর্শ গান্ধী এবং নেহেরু প্রচার করেছিলেন, তার পরিপন্থী। বিষয়টি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কংগ্রেস কিভাবে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের প্রধান আইএসএফকে সমর্থন করা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। এর ব্যাখ্যা তাকে দিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করেই যে এই কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই আনন্দ শর্মাকে পাল্টা জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বলেন, “আমরা একটি রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছি। দিল্লির অনুমোদন ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কংগ্রেসের একাংশকে অনুরোধ, পার্সোনাল কমফোর্ট জোন থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করা বন্ধ করুন। এদের উচিত, কংগ্রেসের হাতকে শক্ত করা। যে গাছের তলায় তারা বড় হয়েছেন, তাকে ধ্বংস করবেন না।”

আর এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাম এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট নিয়ে এমনিতেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে কংগ্রেস। তারমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে যেভাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিকে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন আনন্দ শর্মা, তাতে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর তারপরেই কেন্দ্রের এই শীর্ষ নেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে সুবিধে করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গেল অধীরবাবুকে।

যার ফলে সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে লড়াই করা তো দূরের কথা, উল্টে নিজেদের দলের হাইপ্রোফাইল নেতার সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিকে। যা নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে কংগ্রেস হাইকমান্ড, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!