প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অতিমারী করোনা ভাইরাসের টিকা কবে আসবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু সম্প্রতি সেই টিকা বের হওয়ার পর প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মীরা প্রথম ধাপে সেই টিকা নিয়েছে। আর সোমবার এই করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর প্রধানমন্ত্রীর সেই টাকা নেওয়ার পরই গোটা দেশকে করোনা মুক্ত হতে হবে বলে আশা প্রকাশ করতে দেখা গেল সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বাংলার বিশিষ্ট অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশে বিজেপি সরকার চলছে বলেই এত মানুষ সহজে করোনার টিকা হাতে পেয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি করতে দেখা যায় এই বিশিষ্ট অভিনেত্রীকে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে পায়েল সরকারের বিজেপিতে যোগদান এবং তারপর করোনা টিকা নিয়ে এই বড়সড় দাবি আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে যথেষ্ট উজ্জ্বল করবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, রবিবার রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল একটি টুইট করেন এই অভিনেত্রী পায়েল সরকার। আর সেখানেই করোনা মুক্ত দেশ গড়তে টিকাকরণের প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির অভূতপূর্ব প্রশংসা করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। আর তারপর থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন পরিস্থিতিতে করোনা টিকার ব্যাপারটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা পায়েল সরকারের গলা থেকে শুনতে পাওয়ায় বিজেপি তাকে বড় কোনো জায়গা দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বর্তমানে দলবদল বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই দলবদলের মধ্যমনি হয়ে পড়েছেন বাংলার বিশিষ্ট অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে বিভিন্ন বিশিষ্টজনের যোগদান করাতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। আর এবার প্রধানমন্ত্রী করোনা টিকা নেওয়ার পর বিজেপি সরকারের প্রশংসা করে রাজনীতিতে যে তার অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।