এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মুখেই বড় বড় কথা রাহুলের, কিন্তু কাজের বেলায় লবডঙ্কা! বড় প্রশ্নবানে বিদ্ধ কংগ্রেস!‌

মুখেই বড় বড় কথা রাহুলের, কিন্তু কাজের বেলায় লবডঙ্কা! বড় প্রশ্নবানে বিদ্ধ কংগ্রেস!‌


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকার পেছনে যে যথেষ্ট কারণ ছিল, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে পাস করে দেশের মা-বোনেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিরোধিতা করতে হবে, তাই সেই বিল নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসকে। অনেক বিরোধী দল আবার এই বিষয়কে সমর্থন জানিয়ে ক্রেডিট নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে তার মাঝেই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী আবার ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু যে কংগ্রেস দীর্ঘ সময় দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল, তখন কেন নারী নিরাপত্তার কথা তারা ভাবেনি, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, সংসদে যখন মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন সেই দিনেও খুঁত ধরতে শুরু করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজেকে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে এবং এই বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজেই চাপে পড়ে গেলেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সেই রাহুল গান্ধীর দিকে। তার বক্তব্য, দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেস সরকারে ছিল। কেন সেই সময় তারা এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি? সেই প্রশ্নের উত্তর আগে তাদের দিতে হবে। আর শুভেন্দু বাবুর এই বক্তব্যের কোনো উত্তরই রাহুল গান্ধীর কাছে অন্তত থাকবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ।

একাংশের দাবি, মোদী সরকার যে বিল সংসদে পাস করিয়েছে, তা কার্যত ঐতিহাসিক। অতীতে কোনো সরকারই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা খুব একটা কথা বলতে পারছে না। কম বেশি সকলেই এই বিলকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু তারপরেও বিরোধিতাকে দেখাতে হবে। আর সেই কারণেই রাহুল গান্ধীর এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য। তবে যে মন্তব্যই তিনি করুন না কেন, তাকে এবার বাংলার মাটি থেকেই কুপোকাত করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু যে অকাট্য যুক্তি সামনে আনলেন, তাতে রাহুল গান্ধী বড় নেতা হতে পারেন কিন্তু তিনি এই যুক্তির কাছে গোল খেয়ে গেলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে বিরোধী দলের অবদান অনস্বীকার্য। তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা নয়, গঠনগত বিরোধিতা করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থের বিষয় তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখছেন এবং মানুষের কথা তুলে ধরছেন, তা থেকে কোনোরূপ শিক্ষা নিতে দেখা যাচ্ছে না সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া বিরোধী জোটকে। যখন কেন্দ্রীয় সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করছে, তখন সেখানেও বিরোধিতা করে হিরো হওয়ার চেষ্টা রাহুল গান্ধীর। যে কোনো এক দিকে তাকে প্রশ্ন তুলে হিরো সাজতেই হবে। তবে তার সেই মনোভাবকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তোলা প্রশ্নে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!