এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম নির্লজ্জতা, আদালতেই জব্দ হবেন মমতা? আইন ভেঙে প্রমান দিচ্ছে তৃনমূল!

চরম নির্লজ্জতা, আদালতেই জব্দ হবেন মমতা? আইন ভেঙে প্রমান দিচ্ছে তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে বিরোধীরা কোনো সভা করতে গেলেই পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি তাদের অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হয় না। তবে তৃণমূলের সভা করতে কোনো অনুমতি লাগে না। যখন খুশি, যেখানে খুশি তৃণমূল সভা করতে পারে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরদিন থেকেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে বারবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে সভা সমিতি থেকে শুরু করে রক্ষাকবজের বিষয়ে জয় নিয়ে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাকে কম দিক থেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেনি এই শাসক দল। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রমাণ করে দিয়েছেন, আইন আদালতে গিয়েই তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন। তাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মসূচিতে যখন পুলিশের বিরুদ্ধে বাধাদান করার অভিযোগ উঠছে, তখন তাদেরকেও আদালতে যাওয়ার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

 

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই কর্মসূচিতে বাঁধা দান নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আদালতে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। কারণ এই সরকারের পুলিশ কিছুতে অনুমতি দেয় না। বিরোধীদের কোনো কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় না। আমাকে 76 বার আদালতে যেতে হয়েছে। তৃণমূলের সভা করতে কোনো অনুমতি লাগে না। ওরা যখন খুশি, যেখানে খুশি সভা করতে পারে। বিধানসভার গেটেও করতে পারে। আদালতের দরজাতেও করতে পারে। ওদের কোনো অনুমতি লাগে না। সব অনুমতি লাগবে বিরোধীদের। তাই আদালত ছাড়া আমাদের কোনো ভরসা নেই।” আর একটি গণতান্ত্রিক রাজ্যে বিরোধীদের এই পরিণতি নিয়ে রীতিমত প্রতিমুহূর্তে হতবাক হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই পরিবর্তনের স্বপ্নই কি দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? যে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে কথা বলতে দেওয়া হতো না বলে তিনি বাম আমলে অভিযোগ করতেন, ক্ষমতায় এসে তো সেই একই কাজ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কেন তার চোখে চোখ রেখে তার দলের কেউ এই ভুলটা ধরিয়ে দিচ্ছেন না? ক্ষমতা পেয়ে গেলেই কি শাসকের রূপ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে যায়?

বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর প্রত্যেকটি বক্তব্যের পেছনে যে যুক্তি রয়েছে এবং তিনি যে দাবিগুলো করছেন তা যে ন্যায় সঙ্গত, তা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত। তাকে রক্ষাকবজ দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সভা সমিতিতে অনুমতি দিয়ে কার্যত সরকারের গালে থাপ্পর দিয়েছে বিচার বিভাগ। কিন্তু তারপরেও এই সরকারের লজ্জা নেই। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা বাধা দান করতে ব্যস্ত। নিজেদের দখলে ক্ষমতা রাখতে ব্যস্ত। সব জায়গায় তাদের দখলদারি চাই। যে কারণে আদালতের দরজায় যাওয়া ছাড়া যে কোনো উপায় নেই, তা আবারও স্পষ্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদ মন্ত্রী সমতুল্য। কিন্তু তাকে আটকানোর জন্য রীতিমতো মরিয়া এই তৃণমূল সরকার। যেদিন শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করেছেন, সেদিন থেকেই তাকে আটকানোই যেন প্রধান টার্গেট হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের।

তবে শুভেন্দু অধিকারী সেটিং করা বিরোধী দলনেতা নন। তাই তার সঙ্গে সেটিং করে যখন কাজকর্ম করা সম্ভব হচ্ছে না তৃণমূলের, তখন অস্বস্তিতে পড়ে পুলিশি মামলার জালে তাকে জব্দ করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। আর যত যতবার পুলিশ দিয়ে তাকে হেনস্থা করবার চেষ্টা হয়েছে, ততবারই শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে গিয়েছেন আদালতের দরজায়। সেখান থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমতা শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে সততা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। তবে ভবিষ্যতে এই সরকারকে জব্দ করতে প্রয়োজনে যদি তাকে আবার আদালতে যেতে হয়, তাহলে তিনি আবার যাবেন। কিন্তু বিনা যুদ্ধে এই সরকারকে ছেড়ে কথা বলবেন না রাজ্যের দাপুটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!