এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের ভাঙন আতঙ্কে ভুগছেন খোদ মমতা? মুকুল-শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে দল ছাড়া নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন!

দলের ভাঙন আতঙ্কে ভুগছেন খোদ মমতা? মুকুল-শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে দল ছাড়া নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জঙ্গলমহল এই মুহূর্তে তৃণমূলের কাছে একটি বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 2019 এর জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন আবার জঙ্গলমহলকে ফেরত আনার। সেই সূত্রে সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন প্রশাসনিক বৈঠক করতে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। অনেকের মধ্যে প্রশাসনিক সভায় শহর তৃনমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়ও উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে দেখেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন করেন দলে থাকা নিয়ে।

আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন। তৃণমূলের শুরু থেকেই দলে রয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত রায়। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করায় দলের অনেকেই বেশ কিছু কান ভাঙানী লোকের দিকে ইঙ্গিত করছে। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশান্ত রায় আবেদন করেন ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু বস্তি এলাকার বাসিন্দারা খাসজমিতে বাস করছেন। জমির স্বত্ব না থাকায় তাঁরা ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে বাড়িও পাচ্ছেন না।

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা তাঁকে প্রশ্ন করেন, দল ছেড়ে প্রশান্ত রায় চলে যাবেন কিনা তা নিয়ে। যদিও তার সদুত্তর পান মুখ্যমন্ত্রী। এবং সমস্যা মেটাতে তিনি ভূমি দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দেন। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেন। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল দল এবং নেত্রীর দূরত্ব বাড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবার ঝাড়গ্রামের সহ-সভাপতি প্রশান্ত রায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতার খবর শোনা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রশান্ত রায় শুভেন্দু অনুগামী বলে কোনদিনই পরিচিত নন। বরং মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে দলীয় সূত্রে। যদিও এতকিছুর পরেও প্রশান্ত রায়ের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের যোগাযোগ হয়েছে এরকম কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন ধরেই অবশ্য প্রশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে তৃণমুলের অন্দরের ক্ষোভ ধিকিধিকি জ্বলছে বলে জানা যাচ্ছে। একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও প্রশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল।

প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি বীরবাহা সরেনের সঙ্গেও প্রশান্ত রায়ের কোন বনিবনা নেই বলে খবর। বীরবাহা সরেন এই মুহূর্তে জেলা চেয়ারম্যান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অজিত মাহাতো জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর। ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতির পদে প্রশান্ত রায়ের সাথে রয়েছেন ছোটন মান্না এবং প্রাক্তন পুর কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানি সহ-সভাপতি হিসেবে। প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রশ্ন রাখার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশান্তের অনুগামীরা বীরবাহা এবং অজিত মাহাতর দিকেই আঙ্গুল তুলেছে।

তাঁদের দাবি, তৃণমূল নেত্রীর কান ভাঙানোর কাজ করেছে এঁনারা। যদিও বীরবাহা এবং অজিত মাহাতো কেউই এই অভিযোগ মেনে নেননি বলে জানা গেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সহ-সভাপতি প্রশান্ত রায় এর দিকে আঙুল তুললেন, তাতে কিন্তু বিভিন্ন প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আগাম কোন খবর এসেছে দলে বড়সড় কোন নেতা দলবদল করতে চলেছে বলে! আপাতত এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে সবকিছুর শেষে জঙ্গলমহলে সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর ওপরেই নজর দিচ্ছেন বেশী তৃণমূল নেত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!