এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নদীয়াই দুই দপ্তরের ডামাডোলের জেরে পদ ছাড়তে চান হেভিওয়েট অফিসার! বাড়ছে জল্পনা!

নদীয়াই দুই দপ্তরের ডামাডোলের জেরে পদ ছাড়তে চান হেভিওয়েট অফিসার! বাড়ছে জল্পনা!


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন সব মহলে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই ভাইরাসকে আটকাতে যেমন তৎপরতা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে, ঠিক তেমনই নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। আর এবার করোনা সঙ্কটের মধ্যেই নদীয়া জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করল।

বস্তুত, প্রায় বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জেলা হাসপাতালের লিয়াজোঁ অফিসার শুভাশিস চন্দের বিরুদ্ধে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানান। আর এরপরই সেই শুভাশিসবাবু গত শুক্রবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে মৌখিকভাবে তার পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, কৃষ্ণনগর সারি হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না। কেউ তাকে সহযোগিতা করছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি রোগীদেরও সেখানে পাঠানো হচ্ছে না। এদিকে করোনা সংকটের এই মুহূর্তে এই দু’পক্ষের কোন্দল থামাতে ময়দানে নামতে হয় জেলা প্রশাসনকে। যে ঘটনা এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। একাংশ বলছেন, যেভাবে চিকিৎসকদের দু’পক্ষের কোন্দল তৈরি হয়েছে, তাতে করোনা ভয়াবহতার মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা অনেকটাই ব্যাহত হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের এই বিরোধ বিপাকে ফেলতে পারে রোগী এবং তাদের আত্মীয় পরিজনদের। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সারি হাসপাতাল নিয়ে অনেকটাই উদাসীন রয়েছেন। যেটা রোগীদের পক্ষে মারাত্মক হতে চলেছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, তারা ভাল মতই কাজ করছেন। তবে তাদের কাজে কেউ তদারকি করুক, এটা তারা চান না। করোনা না থাকা সত্ত্বেও বহু রোগীদের সারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর এই নিয়েই তৈরি হচ্ছে সমস্যা। কিন্তু কেন এই সংকটকালীন মুহূর্তে এভাবে দুই পক্ষের তরজা চলবে? কেন নিজেদের মধ্যে তরজা বন্ধ রেখে সকলে সবকিছু সামাল দিতে পারছেন না! কেন এখন চিকিৎসক থেকে শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে মূল টার্গেট হচ্ছে না রোগীদের সুস্থ করা?

এদিন এই প্রসঙ্গে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাওয়া হাসপাতালের লিয়াজোঁ অফিসার শুভাশিস চন্দ কিছু বলেনি। তবে এই ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপারেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনো কোন্দল বা এরকম কোনো বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই।” এদিকে এই প্রসঙ্গে নদীয়ার জেলাশাসক বিভূ গোয়েল বলেন, “একটু ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। দু পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বসা হচ্ছে। যাই হয়ে যাক, আমরা মিটিয়ে নেব।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, এখন সকলেরই উচিত, করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করা। সেদিক থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের মধ্যে যদি এই দ্বন্দ্ব চলতে থাকে, তাহলে আখেরে ক্ষতি হবে আক্রান্ত রোগীদের। তাই এখন করোনা সংকটের এই মুহূর্তে সকলের ঐক্যবদ্ধ হলে নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা অবিলম্বে মিটিয়ে নেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কবে এই সমস্যা পাকাপাকিভাবে মেটে এবং কবে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জটিলতা বন্ধ হয় নদীয়া জেলায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!