এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসছে বাংলার বুকে জেনে নিন সর্বশেষ রিপোর্ট

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসছে বাংলার বুকে জেনে নিন সর্বশেষ রিপোর্ট


একেই করোনা পরিস্থিতির জেরে মানুষের অবস্থা তথৈবচ, তার মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এবার এসে হাজির হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। কিছু সময় আগেই পশ্চিমবঙ্গ আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের মুখোমুখি হয়েছিল। সেসময় অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবন অধিবাসীদের। আবারও নতুন করে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়! তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিশ্চিত করেছে, সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের হাত থেকে অধিবাসীদের রক্ষা করার জন্য।

আবহাওয়াবিদদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গভীর নিম্নচাপ রূপ নিতে চলেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে, এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উড়িষ্যা পারাদ্বীপ থেকে 1100 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব পরিমাপ করতে গেলে দেখা যাছে, দীঘা থেকে 1250 কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের থেকে 13 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি অর্থাৎ আগামীদিনের ঘূর্ণিঝড় আমফান।

আবহবিদদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় য়ামফান নিম্নচাপরূপে অবস্থান করছে ঠিকই কিন্তু নিম্নচাপের কারণে ঝড়ের বেগ ঘন্টায় 60 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এ দিনই নিম্নচাপ পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে অতি প্রবল নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে ঝড়ের বেগ ঘন্টায় 95 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে জানা গেছে, 17 ই মে রবিবার ঘূর্ণিঝড় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ফলস্বরূপ ঝড়ের গতিবেগ আবারও বদলে ঘণ্টায় 100 কিলোমিটার হয়ে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

18 ই মে সোমবার এবং উনিশে মে মঙ্গলবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে রূপ নেবে আমফান। এর ফলে ঝড়ের গতিবেগ দাঁড়াবে ঘন্টায় 180 কিলোমিটার এবং পরের দিন বুধবার অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে এটি। সে ক্ষেত্রে ঝড়ের গতিবেগ হয়ে যাবে ঘণ্টায় 200 কিলোমিটার। অন্যদিকে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যথা- উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।

উনিশে মে এছাড়াও কোন কোন জায়গায় ভারী থেকে অতি বৃষ্টি হতে পারে। 20 শে মে ঝড়ের গতিবেগ উত্তরোত্তর বেড়ে ওঠার কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দপ্তর থেকে অরেঞ্জ ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, উনিশে মে বিকেল থেকে ঘণ্টায় 65 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশ উপকূলেও হানা দিতে পারে এই আমফান। ইতিমধ্যে যেসব মৎস্যজীবীরা সাগরের গভীরে রয়েছেন তাঁদেরকে ফিরে আসার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ রীতিমত নাকানিচোবানি খাচ্ছে, ঠিক সেই সময় যদি রাজ্য ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয় তাহলে রাজ্যের পরিস্থিতি যে অতীব খারাপ হতে চলেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে খুব স্বাভাবিক ভাবেই করোনা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধগুলি মেনে চলা সম্ভব হবে না। ফলে কোনরকম নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না যে এই সময় করোনার সংক্রমণ ছড়াবে না। তবে এরকম পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আপাতত করোনা পরিস্থিতির সাথে সাথে নতুন করে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেই প্রার্থনাই একমনে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য বাসীরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!