এক মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী-সীতারাম ইয়েচুরির ‘দলিত বিরোধী’ প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা জাতীয় August 10, 2018 বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লীতে তেলঙ্গানার দলিত সংগঠন ‘মহাদিকা সংরক্ষণ বিকাশ সমিতি’র একটি সভা অনুষ্ঠিত হলো। প্রসঙ্গত এদিনের সভার প্রধান দাবি ছিলো গত এপ্রিলে ভারত বনধের সময় যেসব দলিত নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে, দলিত নিগ্রহে অভিযুক্তদের অতি সত্ত্বর গ্রেফতার করতে হবে এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারকে অবিলম্বে বিবৃতি দিয়ে বলতে হবে, দলিতদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রুজু হয়েছে গুরুত্ব অনুসারে খতিয়ে দেখতে হবে। এদিনের সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ আরোও অনেকেই। এই সভামঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বললেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন দলিত সম্প্রদায়ের বিরোধী। তাই তিনি দলিতদের উন্নয়নের পরিবর্তে দলিত-বিরোধী চিন্তাভাবনা করে থাকেন। কংগ্রেস সভাপতির মতে, প্রধানমন্ত্রীর যা মনে করেন, সেই মত নীতি তৈরী হবে একথাই স্বভাবিক। এরপরে গুজরাটের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী জানালেন, প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে নিজের ভাষণের একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, দলিত মানুষজন যখন সাফাই করেন, তখন তাঁরা মনে বড্ড আনন্দ অনুভব করেন। যা তাঁর দলিতবিরোধী মনোভাবের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কাজকর্মের সমালোচনা করে কংগ্রেস শীর্ষনেতা বললেন, মোদির জমানায় শিক্ষা ও প্রগতিতে দলিতদের কোনও জায়গা নেই। আওয়াজ তুললেই রোহিত ভেমুলাদের মতো মানুষদের পেটানো হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে দলিত সংগঠনের এদিনের সভায় উপস্থিত হয়ে সভামঞ্চ থেকে নিজের বাবা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে স্মরণ করে রাহুল গান্ধী বললেন, দলিতদের উৎপীড়ন থেকে রক্ষার আইন দেশকে দিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তাঁর মতে সেই আইনকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। একই সাথে তিনি দলিত মানুষদের উদ্দেশ্যে আশ্বাস দিলেন, কংগ্রেস দলিত মানুষের পাশেই থাকবে এবং দলিত আইন রক্ষা করবে। পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনের জিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিনের সভা থেকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও একই সুরে দলিত প্রসঙ্গে সরকার বিরোধীতা করলেন। প্রসঙ্গত, বাংলায় বা কেন্দ্রে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট পাশাপাশি থাকলেও, কেরলে এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টে তিনি বামফ্রন্টকে জায়গা দেওয়া প্রসঙ্গে কিছু জানাননি। এই পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কি কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু গতকালের সভায় যেভাবে রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে একযোগে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন, তাতে আগামী লোকসভায় সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের জোট সম্ভাবনার জল্পনা বেড়ে গেল বেশ কয়েকগুন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -