এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত করে হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে গেল সোশাল দুনিয়া। তুমুল উত্তেজনা

বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত করে হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে গেল সোশাল দুনিয়া। তুমুল উত্তেজনা


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মানুষের কাছে স্মার্টফোন তার জীবনের বেঁচে থাকার জন্য জল হাওয়া-বাতাসের মতই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। সকাল বেলায় ঘুম চোখ খোলা থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত ফোন মানুষের চিরসঙ্গী হয়ে গেছে। মানুষের পরম বন্ধু, তার সমস্ত কাজের দোসর হয়ে উঠেছে সে। তবে সেই ফোনে যদি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি না কাজ করে, তবে স্মার্টফোনের স্মার্টনেস নিমেষেই গায়েব হয়ে যায়।

সম্প্রতি এমনই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা। বর্তমানে মানুষ সোশ্যাল হোক বা না হোক, সোশাল মিডিয়ায় কোন একটি নিজস্ব একাউন্ট থাকা কিন্তু বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। তাই পাশের বাড়ির মানুষের খোঁজ না রাখলেও বিশ্বের শেষ প্রান্তে থাকা অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে নিজের জীবনের কথা ভাগ করে না নিলেই যেন ঘুম হয় না মানুষের। আর এই কথা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বর্তমানে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার অন্যতম। যদি দিনের শেষে ফেসবুকে ছবি আপলোড করা নাই গেল, বা নিজের কোন অ্যাচিভমেন্টের কথা নাই জানানো গেল, বা সারাদিনের কাজকর্মের ছবি ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট না করা গেল, তাহলে তো জীবনটাই বেকার বলে মনে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে গতকাল রাতে হঠাৎই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে যে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম হঠাৎ করে স্তব্ধ হয়ে গেছে। আর তার পরে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। আসল কথা হল, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য মানুষ গৃহবন্দি। সেই সঙ্গে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক মত স্বাভাবিক না হওয়ায় দূর-দূরান্তের প্রিয়জনের খোঁজ নিতে এই সোশাল সোসাইটই তাই ভরসা। এবার হঠাৎ করে যদি সেই একটি মাত্র মাধ্যম স্তব্ধ হয়ে যায় তবে আশঙ্কা তৈরি হওয়াটা যথেষ্ঠ স্বাভাবিক। কারণ দূরে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের দৌলতে আজ দূরদুরান্ত থেকে কাছের মানুষকে চোখের সামনে প্রায় ছুঁয়ে দেখা যায়।

গতকাল হঠাৎ করেই এমন অভিযোগ আসায় তাই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে শুধুমাত্র বিদেশে নয় ভারতের বহু ইউজারের তরফ থেকেও এমন অভিযোগ আসে। জানা যায় অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এই দুটি ফোনের ক্ষেত্রেই কিন্তু একই সমস্যা দেখা যায়। ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ। ইউরোপ আমেরিকাতেও ভারতের সঙ্গে এই একই সমস্যা দেখা যায়। সেই সঙ্গে টুইটারে অনেকেই সমস্যার কথা জানান। কিন্তু কেন এই সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু জানা যায়নি। তবে এই সমস্যার কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার অনলাইন মিডিয়া চালু হয় বলেই জানা গেছে। তবে আপাতত সংস্থার তরফে এহেন আকস্মিক ঘটনার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!